২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট প্রশ্নে থেরেসাকে ইউরোপীয় নেতাদের চাপ

-

ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য নিজের দেশে সমর্থন আদায়ের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে চাপ দিচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। তারা থেরেসাকে সতর্ক করে দিচ্ছেন, তিনি দেশের মধ্যে সমর্থন আদায় করতে না পারলে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে হবে।
গতকাল বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে এবং ২৭টি দেশের নেতাদের সাথে নৈশভোজে অংশ নেয়ার এবং তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার কথা থেরেসার। কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউরোপীয় নেতারা থেরেসাকে জানিয়ে দেবেন যে, রোববার সংলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা আর চুক্তিতে খুব একটা ছাড় দেবেন না। কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে দেয়ার জন্য তারা পদপে নেবেন।
সম্মেলনের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য থেকে বের হয়ে গেলে আইনি ঝামেলায় পড়ার পাশাপাশি আগামী মার্চের ২৯ তারিখে সীমান্তে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোলযোগ হতে পারে। তিনি ইইউ-ইউকে সীমান্ত ভাগাভাগির েেত্র থেরেসাকে ‘সৃষ্টিশীল’ সমাধান খুঁজে বের করার তাগাদা দিয়েছেন। টাস্ক এই সমস্যাকে ‘গার্ডিয়ান নট’ অভিহিত করে বলেছেন, তিনি থেরেসাকে সমসাময়িক ‘আলেক্সজান্ডার দ্য গ্রেট’ মনে করেন না। যিনি নিজের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে লন্ডন ও বেলফাস্টে সম্মুখীন হওয়া বিরোধীদের দমন করে জয়ী হতে পারবেন।
‘নো ডিল’ বা চুক্তি না করার বার্তাটি যথেষ্ট আন্তরিক। ইইউ তাদের দৃষ্টিতে দুর্বল প্রতিপকে সমঝোতায় বাধ্য করতে চাপ দেয়ার জন্য এটাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছে। থেরেসার করা সেরা চুক্তির পে লড়াইয়ের জন্য রাজনৈতিক মঞ্চে তার জন্য এটা সহায়ক হবে।
ইইউ নেতারা সংলাপের সময় নিয়েও অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। মঙ্গলবার ইইউ কর্মকর্তারা আগের বুলিই আওড়ান যে, ‘সময় চলে যাচ্ছে’। যুক্তরাজ্যকে দ্রুত একটি চুক্তিতে রাজি হতে হবে যাতে ব্রেক্সিটের আগেই পার্লামেন্টে অনুমোদন করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যেরই বেশি চিন্তা দেখে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ‘শান্ত থাকবেন ও কাজ করে যাবেন’। তারা চূড়ান্ত চুক্তির জন্য আগামী ডিসেম্বর এমনকি তারপরও অপো করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
থেরেসা মে নিজের মন্ত্রিসভা ও সমর্থকদের কাছ থেকে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন জানিয়ে বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিদিয়ের রেইনডার্স বলেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্য নিজের সাথেই লড়াই করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একটি চুক্তি করতে চাই তাহলে আরো অনেক সপ্তাহ কাজ করতে হবে। আমরা শান্তভাবে কাজ করব।’ জার্মানির ইউরোপ মন্ত্রী থেরেসাকে ‘দায়িত্ব নেয়ার ও কার্যকর হওয়া’র আহ্বান জানিয়েছেন। তবে অনেক কূটনীতিক মনে করেন, আগামী নভেম্বরের শুরুতে পার্লামেন্টে বাজেট পাস করানোর আগে থেরেসা এই সমঝোতা নিয়ে কোনো অগ্রগতি লাভ নাও করতে পারেন।
থেরেসা মে চলে যাওয়ার পর নৈশভোজে ইইউ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে একটি বিশেষ ব্রেক্সিট সম্মেলন আয়োজন করা হবে কি না। তবে টাস্ক বলেছেন, তাদের বিশ্বাস করতে হবে, একটি চুক্তি প্রায় হয়ে গেছে। আর ব্রাসেলসে থেরেসা নতুন কোনো পদপে না নিলে ধরে নিতে হবে যে, এই সপ্তাহেই চুক্তিটি হয়ে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement