২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আলোচনা ব্যর্থ হলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আয়ারল্যান্ড

-

যদি ইসরাইলের সাথে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কনভেনে গত শনিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটি সফরের সময় আয়ারল্যান্ড তাদের এ অবস্থান জানায়।
স্থানীয় পবিত্র আইরিশ টাইমসে কনভেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এখন পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেইনি। কিন্তু যদি শান্তি আলোচনার নামে তথাকথিত আলোচনা যদি এমন নৈরাশ্যজনকভাবেই এগোতে থাকে, তাহলে আমরা এর সুস্পষ্ট কারণটি সম্পর্কে বিবেচনা করতে বাধ্য হবো। আমি মনে করি ইউরোপের অনেকগুলো দেশই এমনটি করবে।
তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড ইতোমধ্যেই শান্তিপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। আর যদি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যকার আলোচনা কোনো ফল বয়ে আনতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমাদের দ্বিতীয় অংশটি (ইসরাইল) সম্পর্কে ভুলে যেতে হবে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আয়ারল্যান্ড সফরে যান। মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গী হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি। তারা আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিউ ভারাদকার ও প্রেসিডেন্ট মিচেল ডি. হিগিংসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসঙ্ঘে মাহমুদ আব্বাস দুই রাষ্ট্র সমাধান অথবা ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্ব পুরোপুরি নিরসনে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাবেন।
আয়ারল্যান্ডে বৈঠক
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কনভেনে ঘোষণা দেন, আয়ারল্যান্ড সরকার থমকে থাকা শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে আরব ও ইউরোপের দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজনের কথা বিবেচনা করছে। রিয়াদ আল মালিকি এ বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সব দেশেরই উচিত এগিয়ে এসে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা।
পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের ইউএনআরডব্লিউএ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের ২০ কোটি ডলার হ্রাস করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আইরিশ সরকার তাদের সহায়তা ৫৩ লাখ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮২ লাখ ডলারে বৃদ্ধি ঘোষণা দিয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে কাজ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এ সংস্থার সবচেয়ে বড় দাতা হিসেবে কাজ করে আসছিল। তারা বছরে ৩৫ কোটি ডলার অর্থ সাহায্য করতো, যা এ সংস্থার পুরো বাজেটের এক-চতুর্থাংশ। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ছাড়াও জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে আসছে।
গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের তহবিল জুগিয়ে যেতে পারে না। ফলে তারা এ ধরনের তহবিল হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওয়াশিংটনে পিএলওর অফিস বন্ধ করার ব্যাপারে আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে উল্টো এ ধরনের অফিস বন্ধ করে দেয়া কোনো ভালো আইডিয়া নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল