২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট চুক্তি ইস্যুতে থেরেসাকে ইইউ নেতাদের চাপ

-

ব্রেক্সিট চুক্তি ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে জোটবদ্ধভাবে থেরেসা মের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তারা। থেরেসা মের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করার আগে আইরিশ সীমান্ত ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিশ্চয়তা দেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়ে দিয়েছে ইইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গতকাল অস্ট্রিয়ায় অনুষ্ঠিত ইইউ-যুক্তরাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ইইউ সদস্য আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের মধ্যকার সীমান্ত জটিলতা সমাধানে ‘ব্যাকস্টপ প্লানে’ আরো বেশি ছাড় দেয়ার থেরেসা মের প্রস্তাবকে তীব্র সমালোচনা করেন ইইউ নেতারা। যুক্তরাজ্য-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত উন্মুক্ত রাখতে লন্ডন ও ব্রাসেলস চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে প্রস্তাবিত ব্যাকস্টপ প্লান অনুযায়ী উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর অর্থনৈতিক তত্ত্বাবধানে থাকবে।
মূলত ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দুই পই চাচ্ছে উত্তর আয়ারল্যান্ডে সীমান্ত বাণিজ্যে কড়াকড়ি এড়াতে। কিন্তু কিভাবে সেটি করা হবে তাতে একমত হতে পারছে না দুই প। এ ব্যাপারে সীমান্ত বাণিজ্যসহ ভর্তুকি, সামাজিক ও কর্মসংস্থান নীতি এবং পরিবেশগত কাঠামোর েেত্র অভিন্ন একটি বিধিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটেন। তাতে পণ্যপ্রবাহে সংঘাত এড়ানোর গ্যারান্টিও দেয়া হয়। কিন্তু ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাব এড়িয়ে ইইউর প্রধান আলোচক মিশেল বার্নিয়ার প্রস্তাব দেন, ইইউ থেকে ব্রিটেন আলাদা হলেও উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউয়ের ‘একক মার্কেট’ অংশ হিসেবে এবং একই কাস্টমসের অধীনে থেকে যাবে, যাকে ‘ব্যাকস্টপ সলিউশন’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এর আগে অস্ট্রিয়ার সালজবার্গে ইইউ নেতাদের ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজের অংশগ্রহণ সামনে রেখে গত বুধবার জার্মানির ‘ডাই ওয়েল্ট’ পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে থেরেসা মে ইইউকে সতর্ক করে দেন। বৈঠকের আগে ব্রিটিশ অবস্থানের পূর্বধারণা দিতে তিনি এই নিবন্ধ লেখেন। এতে থেরেসা বলেন, যদি ইইউ ও যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট চুক্তিতে পৌঁছতে পারে, তাহলে কোনো পই অগ্রহণযোগ্য দাবি করতে পারে না। তা ছাড়া এই প্রস্তাবে (ব্যাকস্টপ প্লান) ুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থেরেসা মে বলেন, যুক্তরাজ্যের দু’টি অংশের মধ্যে বিদেশী কাস্টমস ব্যবস্থার মতো অগ্রহণযোগ্য কিছু কোনো পই অন্য পরে কাছে দাবি করতে পারে না। এ ধরনের অবস্থায় পড়লে কোনো দেশই তা মানতে পারবে না। তিনি আশা করেন, যুক্তরাজ্যের অবস্থান ব্রাসেলস মূল্যায়ন করবে। একই সাথে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডে আইনি বাধ্যবাধকতায় নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথাও ইইউকে স্মরণ করিয়ে দেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সালজবার্গ সম্মেলনের একপর্যায়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন,‘আইরিশ সীমান্ত ও একক বাজারের অখণ্ডতার বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার নীতি রয়েছে। আমরা ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যাকস্টপ প্লান রক্ষা করার ব্যাপারে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব চাই।’ অন্য দিকে, গতকাল সকালে থেরেসা মের সাথে বৈঠক করেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement