২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমরা রাশিয়াকে বিশ্বাস করি না কিন্তু বোমাবর্ষণ থেকে সমঝোতা ভালো ইদলিবের বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া

-

সম্প্রতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার ইদলিব নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে তুরস্ক ও রাশিয়া। আর দুই দেশের এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান ও সিরিয়ার সরকার। সম্ভাব্য যুদ্ধের হাত থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে মুক্তি পাওয়া ইদলিবের বাসিন্দা ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা এখন এই সমঝোতার ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে হওয়া সমঝোতায় সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন হামলা কমপক্ষে এক মাসের জন্য স্থগিত রাখা এবং প্রদেশটির ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
গত সোমবার হওয়া তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার এই সমঝোতার মাধ্যমে ইদলিবে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির আশঙ্কা আপাতত কমে গেছে এবং বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে ইদলিবে খুব সহজেই সিরিয়ার বাশার সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে গেছে। পাশাপাশি রাশিয়া-তুরস্ক সমঝোতার ফলে উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের আঙ্কারা সমর্থিত বিদ্রোহী যোদ্ধারা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে এবং তারা অন্যান্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর নেতৃত্ব দেবে। তা ছাড়া দামেস্ক ও মস্কোর যৌথ আক্রমণের আশঙ্কা না থাকায় সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য এই সমঝোতা ‘স্বাগত অবসর’ হিসেবে সামনে এসেছে। ‘ফ্রি ইদলিব পুলিশ’ নামে ইদলিবের বিদ্রোহী সমর্থিত পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র মাহমুদ আব্বি বলেন, ‘ইদলিবের বেসামরিক মানুষ এই সমঝোতাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। তারা এই চুক্তি টিকবে বলে আশাবাদী। ইদলিবে রাশিয়া ও আসাদ সরকারের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে তুরস্কের চালানো প্রচেষ্টার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। যাই হোক, সমঝোতা বা চুক্তির ব্যাপারে আমরা রাশিয়াকে বিশ্বাস করি না। কিন্তু বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, বোমা হামলার শিকার বা উদ্বাস্তু হয়ে জীবনযাপন করা থেকে এটা (সমঝোতা) ভালো।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার জন্য তুরস্ক এই চুক্তি করলেও এর মাধ্যমে পুতিন ও আসাদের মুখরক্ষা হয়েছে। অন্য দিকে, বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা ও অদক্ষ সেনাবাহিনীর জন্য ইরান ইদলিব আক্রমণে বাশার সরকারের সঙ্গী হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। আসাদ সরকার খুই দুর্বল এবং ইরানের সেনাবাহিনীর সাহায্য ছাড়া তার আক্রমণ করার কোনো শক্তিই নেই।’ উল্লেখ্য, গত সোমবার রাশিয়ার সোচি শহরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং ইদলিব ইস্যুতে উভয় দেশ সমঝোতায় পৌঁছে। এর আগে এক সপ্তাহ আগে তেহরানে অনুষ্ঠিত ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য, এই দু’টি বৈঠকের কোনোটাতেই আসাদ সরকারের কোনো পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।

 


আরো সংবাদ



premium cement