২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রে হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে চীন : পেন্টাগন

-

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার বোমারু বিমানের বহর বৃদ্ধি করছে। এসব বোমারু বিমানকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বেইজিং। তা ছাড়া দূরবর্তী স্থানে বোমারু বিমান পাঠান সক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে চীনের। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসকে দেয়া প্রতিরক্ষা দফতর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এক রিপোর্টে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, চীনের বোমারু বিমানের এসব ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। চীনের পিএলএ গুয়ামসহ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মার্কিন ও মিত্র শক্তির সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। চীন দাবি করে আসছে দেশটি পদাতিক বাহিনীকে উড্ডয়ন ও বিজয়ী হিসেবে রূপান্তর ঘটাচ্ছে। চীন সম্পর্কে এই সামরিক মূল্যায়ন রিপোর্ট এমন সময় প্রকাশ করা হলো, যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা চলছে। পেন্টাগনের রিপোর্টে চীনের সামরিক সামর্থ্য ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীনের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ ১৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘গত তিন বছরে পিএলএ অব্যাহতভাবে পানির ওপর দিয়ে বোমারু বিমানের অভিযান পরিচালনার গণ্ডি বাড়িয়ে যাচ্ছে, জটিল উপকূলীয় অঞ্চলের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’ চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে সংক্ষেপে পিএলএ বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, চীন স্টিলথ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম দূরপাল্লার কৌশলগত বোমারু বিমানের উন্নয়ন করছে যেগুলো আগামী ১০ বছরের মধ্যে অপারেশনে আসতে পারে।’
পেন্টাগন জানিয়েছে, চীন শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে নিজেদের সাথে একীভূত করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করে তাহলে চীন কার্যকর মার্কিন হস্তক্ষেপে বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে এবং বড়ধরনের স্বল্প সময়ের যুদ্ধে জয়ী হতে চাইবে।
পেন্টাগন বলেছে, জিবুতিতে চীন তার প্রথম বিদেশী ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং পাকিস্তানের মতো যে দেশগুলোর সাথে এর দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব সম্পর্ক এবং একই কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে সে দেশগুলোতে সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
পেন্টাগনে এই সতর্কতা এমন সময় এলো যখন পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। একই সাথে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ বাড়াচ্ছে চীন। গত বছরই এই অঞ্চলে চার বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় দেশটি।
২০১৪ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চতুর্থ বৃহৎ দাতা দেশ ছিল চীন। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান ছিল। তবে বেইজিং তার সহায়তা বাড়িয়ে গেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন দুনিয়াজুড়েই মার্কিন সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে। সব মিলিয়ে তহবিল ব্যয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে এ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহৎ দাতা দেশে পরিণত হয় চীন। একই বছর প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্যের হিসাবে বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয় দেশটি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার

সকল