ট্রাম্পের নতুন প্রতিরা বাজেটে চীনের উদ্বেগ
- রয়টার্স
- ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য ৭১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বিশাল বাজেট বিলে সই করেছেন। তার এ সইয়ের মধ্য দিয়ে বাজেট বিলটি আইনে পরিণত হলো এবং মার্কিন প্রতিরা মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এ অর্থ খরচ করবে। বিলটি বেইজিংকে ল্য করেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে চীন এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বাজেট বিলে সই করার পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমাদের যোদ্ধারা অস্ত্র, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাওয়ার অধিকার রাখে। তারা রক্ত, ঘাম ও চোখের পানির বিনিময়ে এ অধিকার অর্জন করেছে।’ ট্রাম্প আরো বলেন, এবারের সামরিক বাজেট যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের যুদ্ধমতা দেবে যার ফলে তারা যেকোনো যুদ্ধে দ্রুত ও চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হতে পারবে। নতুন বাজেট থেকে পেন্টাগন ৬৩ হাজার ৯১০ কোটি ডলার খরচ করবে সামরিক ঘাঁটিগুলোর জন্য। আর বিদেশে অবস্থানরত সেনাদের জন্য খরচ করা হবে ছয় হাজার ৯০০ কোটি ডলার। নতুন বাজেটে মার্কিন সেনাদের বেতন বাড়বে শতকরা দুই দশমিক ছয় ভাগ।
এ বিলে চীনের বিরুদ্ধে পদপে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তারপরও বিলটি বেইজিংকে ল্য করেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে চীন এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিল সইয়ের পরদিনই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীন বরাবরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগ করার অনুরোধ করছি।’
সোমবার ট্রাম্প ৭১ হাজার ৬ শ’ কোটি মার্কিন ডলারের ওই প্রতিরা বিল সই করেন। যেখানে সামরিক ব্যয় অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি চীনের ‘জেডটিই করপোরেশন’ ও ‘হুয়াই টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের’ সাথে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণও শিথিল করা হয়েছে। তবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) নামক এ নতুন বিলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ওপর নজরদারি এবং তাইওয়ান বাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলতে তাদের প্রস্তুতির পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট পেশের ব্যবস্থা থাকায় চীন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরা বিল সইয়ের পরদিনই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘চীন বরাবরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে ঠাণ্ডা যুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগ করার অনুরোধ করছি।’ নতুন প্রতিরা বিলে প্রস্তাবিত বিদেশী বিনিয়োগ জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হবে কি না তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী বিনিয়োগ যাচাই-বাছাই কমিটিকে (সিএফআইইউএস) আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলায় চীনের অলিখিত প্রযুক্তি আইন
এ দিকে রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ও নতুন শুল্ক বসানোর প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অলিখিতভাবে চীন নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করতে পারে বলে জানিয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ। এই আইনগুলো মূলত বিভিন্ন ফায়ারওয়াল ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা গাইডলাইন। চীনের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই অলিখিত আইন বা গাইডলাইনগুলো মেনে চলা বাধ্যতামূলক। চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এক রিপোর্টে জানায়, গত কয়েক বছরে চীন সরকার প্রযুক্তিবিষয়ক প্রায় ৩০০টি গাইডলাইন ইস্যু করেছে। এতে আরো বলা হয়, এই গাইডলাইনগুলোর কারণেই চীন ক্রমবর্ধমানভাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠিন বাজারে পরিণত হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা