২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মস্কো-ইসলামাবাদ চুক্তি

পাকিস্তানের সেনাকর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নেবেন রাশিয়ায়

-

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এখন থেকে রাশিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। সম্প্রতি সামরিক প্রশিক্ষণসংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন বলে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাশিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেক্সান্ডার ফোমিনের সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি সেনাদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেÑ দিন দুয়েক আগে পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমে এমন খবর বের হওয়ার পর ইসলামাবাদ-মস্কো চুক্তির বিষয়টি সামনে আসে। পাকিস্তানের সিনেটর মুশাহিদ হুসাইন সাইদ যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ভ্রান্ত ও প্রতিশোধমূলক বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মুশাহিদ হুসাইন আরো বলেন, ব্যর্থ ও অকার্যকর নীতি আঁকড়ে ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ব্যাপারে অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে অতীতের ভুলগুলোরই পুনরাবৃত্তি করছে।
উল্লেখ্য, ‘উগ্রপন্থা দমনে যথাযথ ভূমিকা পালন না করার’ অভিযোগে এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে দায়ী করেন এবং দেশটিকে দেয়া সামরিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেন। এবার দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তির অধিকারী এই দেশটির সেনাদের যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করল দেশটি।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানবিষয়ক সাবেক বিশেষ মার্কিন মুখপাত্র ড্যান ফেল্ডম্যান বলেছেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত খুবই অদূরদর্শী। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর ভবিষ্যতে খারাপ প্রভাব পড়বে।’ পেন্টাগনের মুখপাত্র ডানা হোয়াইটের সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস আইএমইটিকে বরাবরই বিদেশী সেনা কর্মকর্তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তৈরির একটি পথ হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি এখানে পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের অংশগ্রহণ বন্ধ করে দিতে চাননি।
অন্য দিকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘জটিল’ আখ্যা দিয়ে রয়টার্স উল্লেখ করেছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোসহ সেখানে টিকে থাকতে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন পড়বে। আবার পাকিস্তান আফগান বিদ্রোহীদের ‘সহায়তা করছে’, এমন অভিযোগও ওয়াশিংটন হরহামেশা করছে। আফগান তালেনবানের পাশাপাশি আমেরিকান সেনাদের ওপর হামলা চালানো হাক্কানি গ্রুপের সদস্যদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হলে ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ২০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বাতিল করেন। এ দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আইএমইটি)’তে এতদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য ৬৬টি আসন সংরক্ষিত ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement