১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিটবিরোধীরাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ

-

যুক্তরাজ্যে এখন ব্রেক্সিটপন্থীদের সংখ্যা কম; বেড়ে গেছে বিরোধীদের সংখ্যা। এক জরিপের ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে যেসব নির্বাচনী আসনের ভোটাররা সব থেকে বেশি সরব ছিলেন সেগুলোর মধ্যে শতাধিক আসনের ভোটাররা এখন মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে থেকে যাওয়াটাই ভালো।
ভোটারদের পরিবর্তিত মনোভাবের এই তথ্য উঠে এসেছে ফোকালডাটা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের অনুসন্ধানে। মূলত লেবার পার্টির সমর্থক যেসব ভোটার ভেবেছিলেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়িত হলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে তাদের ক্ষেত্রেই মতামত বদলে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। দুই বছর ধরে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য শর্ত নির্ধারণ ব্যতিরেকেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার শঙ্কার মুখে এখন তারা ভাবছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যে আশা তারা করেছিলেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণী খবরটি গণভোটের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রকাশিত ব্রেক্সিট বিষয়ক জরিপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ২০১৬ সালের জুন মাসে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গণভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেয় ব্রিটিশ ভোটাররা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পর পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া থেরেসা মে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার ঘোষণা দেন। কী কী শর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাবে তা নির্ধারণ করতে গিয়ে ইইউয়ের সাথে যুক্তরাজ্যের দর কষাকষি চলতে থাকে। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিরুদ্ধে ইইউর অনেক শর্ত বিনা বাধায় মেনে নেয়ার কারণ উল্লেখ করে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পদত্যাগ করেন। তার পরপর ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন প্রস্তাবের শর্তের সাথে একমত হতে না পেরে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এখন নতুন গবেষণায় জানা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ আসনে ব্রেক্সিটপন্থীরা তাদের অবস্থান পাল্টেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে বরিস জনসনের আসনের ভোটাররাও।
ফোকালডাটা কনজিউমার অ্যানালাইটিক্সের গবেষকদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ আসনই এখন ব্রেক্সিট বিরোধী মনোভাবের ভোটারের সংখ্যা বেশি। এ ঘটনা ঘটেছে মূলত সেই সব লেবার পার্টির সমর্থকদের জন্য যারা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু এখন আর ব্রেক্সিট চাইছেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিষয়েই এখন তাদের আগ্রহ। ফোকালডাটা কনজিউমার অ্যানালাইটিক্সের গবেষণায় দু’টি ইউগভ জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, ব্রেক্সিট সমর্থক হয়েও এখন ব্রেক্সিট চান না এমন মত পাল্টানো ভোটারদের সংখ্যা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বেশি। সেখানে লেবার পার্টির শক্তিশালী অবস্থান।
ফোকালডাটা কনজিউমার অ্যানালাইটিক্সের সাথে গবেষণার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছিল ব্রেক্সিটবিরোধী সংগঠন ‘বেস্ট ফর ব্রিটেন’ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন ‘হোপ নট হেইট’। গণভোটের তথ্যের সাথে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে পাওয়া আদমশুমারির তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ৬৩২টি আসনের তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে গবেষণায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান

সকল