২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিয়াটলের বিমান চুরির সাথে সন্ত্রাসের সম্পর্ক পাওয়া যায়নি

-

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল বিমানবন্দর থেকে একটি যাত্রীবাহী বিমান চুরি করে আকাশে উড়েন ওই বন্দরেরই একজন কর্মকর্তা। প্রায় একঘণ্টা আকাশে উদ্দেশ্যহীনভাবে বিচরণ করার পর পাশের একটু জনশূন্য দ্বীপে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী’ আখ্যা দিয়েছেন।
তবে কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই ঘটনার সাথে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যোগসূত্র নেই। এ ছাড়া বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে পাশের যুদ্ধবিমানগুলোরও কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। তারা জানিয়েছেন, বিমানটি নিরাপত্তা আইনের কোনো লঙ্ঘন করেনি। ওই কর্মকর্তা বিমান দিয়ে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোরও চেষ্টা করেনি। আকাশে উড়ার সময় ৭৮ সিটের বিমানটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
কিউ-৪০০ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটিকে তাড়া করে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫ মডেলের কয়েকটি যুদ্ধ বিমান। সেটিকে ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যাত্রীশূন্য বিমানটি স্বপ্রণোদিত হয়েই পাশের দ্বীপে অবতরণ করে ও বিধ্বস্ত হয়। ওই কর্মকর্তার আহত বা নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার নাম রিচার্ড রাসেল।
বিধ্বস্ত বিমানটি হরিজন এয়ারলাইনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তা বেশ হতাশাগ্রস্ত ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই ঘটনার সাথে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যোগসূত্র নেই। এ ছাড়া বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে পাশের যুদ্ধবিমানগুলোরও কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল পুরোপুরি আত্মঘাতী।
শনিবারের বিমান চুরি ও বিধ্বস্তের ঘটনায় উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এ ঘটনা ওই বিমানবন্দরের দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা কিভাবে বাণিজ্যিকভাবে চালিত একটি বিমান নিয়ে সহজেই আকাশে উড়তে পারে সেটি খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। হরিজন এয়ারলাইন্সের সাবেক কর্মকর্তা রিক ক্রিস্টেনসন বলেন, সবাই হতবাক হয়ে গেছে। এমন ঘটনাও ঘটতে পারে? কিভাবে এটা সম্ভব হলো? প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বলেন, রিচার্ড রাসেলের বিমানে ওঠার অনুমতি ছিল। তাই তার বিমানে ওঠাতে নিরাপত্তা আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement