১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দ্রুত উজাড় হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের নিবিড় বনাঞ্চল

-

দ্রুত গতিতে উজাড় হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর নিবিড় বনাঞ্চল। দেশ হিসেবে অস্ট্রিয়ার যে আয়তন রয়েছে, ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর তার থেকেও বেশি আয়তনের বন বা বনের অংশ উজাড় হয়ে গেছে। দ্রুতগতিতে বন উজাড়ের এ হার গত দশকের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ভূমি রক্ষায় জন্য জাতিসঙ্ঘের নতুন পদক্ষেপ ঘোষণার অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা এ কথা বলেন।
কয়েক দশক ধরে বন উজাড় বন্ধ করতে প্রচেষ্টা চালানো হলেও উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, ২০০০ সাল থেকে প্রায় ১০ শতাংশ প্রাকৃতিক ও শান্তিপূর্ণ বন বিভিন্নভাবে উজাড় করা হয়েছে বা কেটে ফেলা হয়েছে। এ শতাব্দীর প্রথম ১৭ বছরে প্রতিদিন গড়ে ২০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি বন বিনষ্টের শিকার হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের (ডব্লিউআরআই) সিনিয়র ফেলো ফ্রান্সিস সেমুর বলেন, ‘নিবিড় বনাঞ্চল উজাড় করে ফেলা একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ খুবই পদ্ধতিগতভাবে আমাদের জলবায়ুকে স্থিতিশীল রাখার একটি প্রধান উপকরণকে আমরা ধ্বংস করছি।’ তিনি এ সপ্তাহে অক্সফোর্ডে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে তার একটি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি আরও বলেন,‘কার্বনকে আয়ত্তে রাখতে একমাত্র প্রাকৃতিক, নিরাপদ এবং প্রমাণিত উপাদান হিসেবে আমাদের কাছে বনাঞ্চল ছাড়া আর কিছু নেই।’
জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং পাঁচটি বৃহৎ বনাঞ্চল রক্ষাকারী সংগঠন যৌথভাবে ‘নেচার ফর কাইমেট’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে ভূমির উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাই তাদের এ পরিকল্পনার লক্ষ্য। জলবায়ুর বাইরে জীববৈচিত্র্য রক্ষা, আবহাওয়ার স্থিতিশীলতা, বিশুদ্ধ বাতাস এবং পানির মান নির্ধারণে বনাঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বনাঞ্চলের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১.৬ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল ছিল। এর আগে ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটার পরিমাণ বনাঞ্চল হ্রাস পায়। বন নিয়ে গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সহযোগী অধ্যাপক পিটার পোতাপভ বলেন, ‘আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যেই অনেক দেশ তাদের সম্পূর্ণ বনাঞ্চল হারিয়ে ফেলতে পারে।’ বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্যারাগুয়ে, লাওস, নিরক্ষীয় গিনি থেকে এবং আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, নিকারাগুয়া, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া এবং অ্যাঙ্গোলা থেকে নিবিড় বনাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যাবে।
ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির অধীনে বন সংরক্ষণ ও জলবায়ু প্রশমন বিভাগের পরিচালক টম ইভানস বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসতে পারে যখন পৃথিবীর কোনো এলাকাকেই আর নিবিড় বনাঞ্চল হিসেবে অভিহিত করা হবে না। এটা নিশ্চিতভাবেই খুব উদ্বেগজনক।’
সূত্র : এএফপি ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন


আরো সংবাদ



premium cement
চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’

সকল