২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

যেমন ছিল বিশ্বের প্রথম ওয়েব পেজ

ইন্টারনেট
প্রথম ওয়েব পেজের স্রষ্টা ছিলেন টিম বার্নারর্স-লি। - ছবি : বিবিসি

ইন্টারনেটে ঢুকলেই আপনার প্রয়োজন হয় যে তিনটি অক্ষর সেগুলো হচ্ছে ‘থ্রি ডব্লিউ’ অর্থাৎ ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ...। গতকাল ১২ মার্চ ছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ত্রিশ বছরপূর্তী।

তিন দশক আগে সেটিতে কোনো রং ছিল না, ছবি ছিল না, ছিল না ভিডিও। এমনকি কোনো একটা গ্রাফিক্স-ও ছিল না সেই পেজে। ওই পেজে যা ছিল তার সবই মূলত ছিল টেক্সট।

সেই জায়গা থেকে শুরু করে আজ ওয়েব এগিয়েছে বহুদূর।

কিন্তু প্রথমবার যখন চালু হলো, এই ওয়েব পেজটা দেখতে আসলে কেমন ছিল?

যেখানে শুরু হয়েছিল
ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর জন্ম হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ১২ মার্চ ইউরোপিয়ান ওরগানাইজেশান ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে।

এটির প্রধান কার্যালয় ছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে।

তখন সিইআরএন ছিল অসংখ্য বিজ্ঞানীর একটি কমিউনিটি। তাই শতাধিক দেশের প্রায় ১০ হাজার বিজ্ঞানীর এক বিরাট পরিমণ্ডলের মধ্যে যেকোনো উপায়ে একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার ছিল।

প্রথম ওয়েব পেজের স্রষ্টা ছিলেন টিম বার্নারর্স-লি। তিনি মূলত ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার ও ফিজিসিস্ট। সে সময় সহজে ও নিরাপদে ডাটা আদান-প্রদানের জন্য ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর জন্য মি. লি প্রস্তাব করেছিলেন।

সেই প্রস্তাবটিকে বার্নার্স লি'র উর্ধতন কর্মকর্তা ‘অস্পষ্ট, তবে ইন্টারেস্টিং’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বর্ধিত ও সমৃদ্ধ হতে-হতে সেই ওয়েবই এখন একটি বিরাট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

৩০ বছর আগে মি. বার্নার্স-লি নিজের কম্পিউটারে তার নিজের আবিষ্কার নেক্সট কম্পিউটার বিষয়ে কাজ করছিলেন।

নিজের সেই কাজকে হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (এইচটিটিপি) হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।

অতি সামান্য এক আইডিয়া থেকে তিনি শুরু করেছিলেন— ইনফরমেশান মেনেজমেন্ট: এ প্রপোজাল।

১৯৮৯ সালের এক বছর পর, ১৯৯০ এর ডিসেম্বরের ২০ তারিখে সিইআরএন এটিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে আগস্ট মাসে সেটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য।

১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সফটওয়্যারকে সিইআরএন পাবলিক ডোমেইনে রেখে দেয় এবং সেটিকে সহজে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি ওপেন লাইসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যাবস্থা রাখা হয়।

এ ঘটনার পর যা ঘটেছে, সেটা ইতিহাস।

তখন প্রযুক্তির দুনিয়াটা কেমন ছিল
সেই সময়ে উইন্ডোজ বা গুগল ক্রোম ছিল না। এমনকি ব্যক্তিগত কম্পিউটারও খুঁজে পাওয়া বিরল ব্যাপারই ছিল। আর এই ইন্ডাস্ট্রি বা প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রসারের দিকটা ছিল বেশ জটিল আর কম আকর্ষণীয়।

ইন্টারনেট তখন ছিল ইমেল চালাচালির বিষয়মাত্র। তখন ইন্টারনেট সার্ফ করার লাইনটা কানেক্ট হতো এনালগ টেলিফোন লাইন মারফত। ফলে লাইন পাওয়া ছিল বিরাট ধৈর্যের পরীক্ষা।

‘বর্তমান জামানায় আমরা ব্যবহার করছি থ্রিজি ও ফোরজি। কিন্তু এরপরো সংযোগে আধা সেকেন্ড দেরী হলে আমরা অস্থির হয়ে ওঠি। প্রযুক্তির দুনিয়াটা ভীষণ দ্রুতলয়ে পাল্টেছে। এতো দ্রুত এর পরিবর্তন ঘটেছে যে, আমরা ভুলেই গেছি অতীতে তা কত ধীরলয়ের ছিল।’

সেটি দেখতে কেমন ছিল?
১৯৮৯ সালে সেই ওরিজিনাল পেজটাতে কোনো অ্যাড্রেস বার ছিল না। কোনো ছবি বা কোনো প্রকারের কোনো শব্দ-ও ছিল না।

কিন্তু সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত তা অনেক বদলে গেছে: হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা এইচটিএমএল-এর দ্রুত বিস্তার ঘটেছে।

-হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল বা এইচটিটিপি-এর এতো বদল ঘটেছে যে এর প্রথম সংস্করণের সাথে বর্তমানের সংস্করণের কোনো মিলই খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

-সার্চ এঞ্জিন আর ওয়েব ব্রাউজারগুলোও ক্রমাগত পরিমার্জন ও আধুনিকায়নের ভেতর দিয়ে গেছে।

পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে বর্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম বা ডাব্লিউথ্রিসি সৃষ্ট করেন। এটিই ওয়ার্ল্ড ওয়াই্ড ওয়েব-এর প্রধান আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল