২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না’

‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না’ - নয়া দিগন্ত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দশ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যে চরম স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে, তা নজিরবিহীন। বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। কিন্তু সরকার জনগণের দাবি না মেনে দেশকে হানাহানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এজন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে সংলাপে বাধ্য করে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফেরত আনতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এসরকারের ক্ষমতার উৎস এমন একটি সংবিধান, যা দেশে ৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে একব্যক্তির শাসন কায়েম করেছে। প্রধানমন্ত্রীই এখানে সব-ক্ষমতার মালিক। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে রাখার কারণেই কারও কোন জবাবদিহিতা নেই, স্বাধীনভাবে ভূমিকা রাখারও সুযোগ নেই। এই অবস্থা অবসানে গণসংহতি আন্দোলন যে জাতীয় সনদ প্রস্তাব করেছে, সেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে, প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একই সাথে জবাবদিহিতা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।

আরো পড়ুন : একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে সরকার : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৪

সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচনের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তারা (সরকার) নির্বাচনটা করতে চায় একতরফাভাবে। বিরোধী দলগুলো যেন নির্বাচনে না আসে এবং তারা একা একাই ২০১৪ সালের মতো একটা নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। উদ্দেশ্যটা একটাই, বিনা নির্বাচনে সমস্ত বিরোথী দলগুলোকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় যাওয়া। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগন কখনোই এটা মেনে নেবে না এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য, জনগনের অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য নিশ্চয়ই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা বিজয় অর্জন করবে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরে প্রয়াত নেতার আত্মর মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শুধু বিএনপি নেতৃবৃন্দ নয়, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন তাদেরও কারারুদ্ধ করেছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় প্রবক্তা বাংলদেশে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তাকে কারারুদ্ধ করেছে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে এবং কারাগারে বন্দি করেছে। দেশে একটা পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এদের লক্ষ্যই হচ্ছে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। যেটার লক্ষ্যেই তারা চলেছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার যা চাইবে তা করবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না – এটা আমরা বার বার বলেছি, এখনো বলছি। এটা বাস্তবতা এ কমিশনের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

১/১১ পর সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ‘নিষ্ক্রিয়’দের সক্রিয় করা হচেছ বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সেই সঙ্গে যারা বাইরে ছিলো, নিষ্ক্রিয় ছিলো তারা সক্রিয় হওয়ার আকাংখা পালন করার জন্যই তাদের সকলকে সক্রিয় করা হয়েছে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।

গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১/১১ সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত ১১ জন সাবেক সংসদ সদস্যের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং স্বৈরতন্ত্র-লুটপাটতন্ত্র প্রতিরোধের আহবান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্তার, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, মুরাদ মোর্শেদ, আরিফুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জনসভায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মী ও সংগঠকরা ফেস্টুন, প্লাকার্ড, লাল-পতাকা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা সহকারে অংশগ্রহণ করেন।

আবুল হাসান রুবেল তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের হুকুম তামিল করা নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জন করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া ছাড়া কোন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

ফিরোজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, সরকার তার ক্ষমতা সুনিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাকট এর মত আইন করছে। শহীদুল আলমের গ্রেফতার গোটা জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছে, স্বাধীনভাবে কথা বলা এই দেশে চলবে না।

তাসলিমা আখ্তার বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা ১৬ হাজার টাকা মজুরি চেয়েছিল। তাদেরকে ৮,০০০ টাকা মজুরি দেয়ার কথা বলে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, এই সরকার শ্রমিক বিরোধী।

হাসান মারুফ রুমি বলেন, কিশোররা তাদের সড়ক সংস্কারের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, তরুণরা তাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল