১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকুন্দিয়ায় শ্বাসরোধে স্ত্রী হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

পাকুন্দিয়ায় শ্বাসরোধে স্ত্রী হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি - নয়া দিগন্ত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় মারা যান গৃহবধূ নূরুন্নাহার (২৬)। হঠাৎ অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নূরুন্নাহারের বাবা মাকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে নূরুন্নাহারকে দেখতে ছুটে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। তার লাশ দেখে সন্দেহ হয় বাপের বাড়ির লোকজনের।

নূরুন্নাহারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি এমন সন্দেহে ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করেন চাচা হারিছ মিয়া। এর প্রেক্ষিতে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ নূরুন্নাহারের লাশ উদ্ধার করে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। গত রোববার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ওইদিন রাতেই স্বামী রুবেল মিয়া, শ^শুড় খুরশিদ আলম ও ননদ শাহানাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বাবা মো.হাছু মিয়া। ওই রাতেই স্বামী মো. রুবেল মিয়া ও শ্বশুর মো. খুরশিদ আলমকে গ্রেফতার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী মো. রুবেল মিয়া নূরুন্নাহারকে গলাটিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।

পরে সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত দুজনকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। বিকেলে কিশোরগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলামের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন স্বামী রুবেল মিয়া।

পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক(তদন্ত)এসএম শফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রুবেল মিয়া স্ত্রী নূরুন্নাহারকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মাস দেড়েক আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়বাগ এলাকার মো. হাছু মিয়ার মেয়ে নূরুন্নাহারকে বিয়ে করে পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে বাবুল মিয়া। উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন নূরুন্নাহারকে অত্যাচার নির্যাতন করতো। ঘটনার আগের দিনও মুঠোফোনে নির্যাতনের বিষয়টি তার বাবাকে জানিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ।


আরো সংবাদ



premium cement