১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘন্টার পর ঘন্টা প্রতীক্ষার পরও পেঁয়াজের দেখা পেলেন না অনেকে

টিসিবির পেঁয়াজের আশায় দীর্ঘ লাইন - ছবি : নয়া দিগন্ত

খোলাবাজারে ২ শ’ টাকা কেজি দরের বিপরীতে নির্ধারিত ৪৫ টাকা মূল্যের টিসিবি’র পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে এসে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রতীক্ষার পর ধৈর্য্য হারিয়ে খালি হাতে অসংখ্য নারী-পুরুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। আজ মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত রোববার থেকে নেত্রকোনায় টিসিবি কর্তৃক ৪৫ টাকা কেজি মূল্যের পেঁয়াজ দেয়া শুরু হয়। প্রথম দিন প্রতিজন নারী-পুরুষকে দুই কেজি, পরদিন সোমবার এক কেজি করে পেঁঁয়াজ দেয়া হয়।

আগেভাগে পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে কাজকর্ম ফেলে দুষ্প্রাপ্য এই পণ্যটির আশায় মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে অভুক্ত অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষা করতে থাকেন। সকাল ১০টা থেকে পেঁয়াজ দেয়া শুরুর কথা থাকলেও বেলা দেড়টা গড়িয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো খবর না থাকায় হতাশ হয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।

লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে আছিরন (৬৭) নামে অসুস্থ এক নারী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

এদিকে, খোলাবাজারে ১৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও গত রোববার থেকে টিসিবি’র কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে স্থানীয় মেছুয়া বাজারসহ প্রতিটি হাটবাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। আদা, পেঁয়াজ ও রসুন এখন একই রকমে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে টিসিবি কর্তৃক সীমিত পর্যায়ে যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে তাতে খোলাবাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। টিসিবি’র কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য অনেকে জোর দাবি জানান।

মঙ্গলবার টিসিবি’র পেঁয়াজ নিতে আসা লাইনে অপেক্ষামান, সদর উপজেলার সাতবেঁিড়কান্দা গ্রামের সোহরাব উদ্দিন (৭২) বলেন, চাষাবাদ ফেলে শুধু পেঁয়াজের আশায় সকাল ১০টা থেকে লাইনে অপেক্ষা করছি। আজকে পেঁয়াজ দেয়া হবে কিনা বুঝতে পারছি না।

সাতপাই এলাকার আছিরন বিবি (৬৭) বলেন, না খেয়ে সকাল থেকে অপেক্ষা করছি, আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না।

পাঁচ কিলোমিটার দূরের আমতলা থেকে আসা কাওসার আহমেদ (৩১) বলেন, অপেক্ষা করতে করতে বাধ্য হয়ে অনেকে চলে গেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement