আসছে শীত, লেপ-কম্বলের খোঁজে ক্রেতারা
- আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫৬
ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই ক্রেতারা খোঁজ শুরু করেছেন লেপ-কম্বলের। নতুন লেপ-কম্বল যেমন কেনা হচ্ছে, তেমনি পুরোনো লেপ নতুন করে বানিয়েও নিচ্ছেন অনেকে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের পৌর এলাকায় লেপ-কম্বলের দোকানগুলোতে তেমনি দৃশ্য এখন নিত্যদিনের।
শীতে উষ্ণতা ছড়াতে লেপ ও কম্বলের জুড়ি নেই। প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই এ সময় ব্যস্ত দিন কাটছে ঈশ্বরগঞ্জের লেপ-তোষকের কারিগরদের।
এ উপজেলার প্রতিটি লেপ-তোষকের দোকান প্রস্তুত শীত বরণে। প্রতিদিন ক্রেতারা ভীর করছেন ওই সব দোকানে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারে নানা রঙের নিত্য নতুন শীতবস্ত্র থাকলেও লেপ-তোষকে একটা বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। এ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। পৌর সদরেই রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি দোকান। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি দোকানে। দোকানগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০টি লেপ কিংবা তোষক তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকরা।
অন্য দিকে কম্বলের দোকান গুলোতেও ভীড় বাড়ছে। কম্বল মানেই রঙের বৈচিত্র্য। ফুল-পাতার নকশা করা এসব কম্বল সৌখিন মানুষকে কাছে টানে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে পাওয়া যাবে এসব কম্বল। তবে দাম কম হওয়ায় চীনের তৈরি কম্বল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তবে কারিগরদের অনেকের অভিযোগ ব্যস্ততা বাড়লেও দোকান মালিকরা তাদের ন্যয্য মজুরি দেন না। সব কিছুতেই মজুরি ও পারিশ্রমিক বাড়লেও তাদের পারিশ্রমিক বাড়েনি। আর দোকান মালিকরা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাপড় ও তুলার দাম। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে তাকতে অল্প লাভে তাদের ব্যবসায় করতে হয়। তাই অনেক সময় কারিগরদের মজুরি কিছুটা কম দেওয়া হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের লেপ-তোষক কারিগর জহির মিয়া জানান, একদিনে মজুরিপান ২’শ থেকে আড়াইশ টাকা এতে তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দোকান মালিকরা তাদের ন্যয্য মজুরি দেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। কারিগর আরমান মিয়া জানান, বর্তমানে লেপ-তোষক সেলাই করে সংসার চালানোটা স্বপ্নের মতো। বাজারে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। সারাদিন পরিশ্রম করে যা পাই তাতে শুধু চালের দামটা দিতেই হিমশিম খেতে হয়।
পৌর বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. সাব্বির মিয়া জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে কাজের পরিমাণ বাড়ে তবে শীতের শুরুতে কাজের চাপ কিছুটা বেশি থাকে। বর্তমানে কাপড় ও তুলার দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় লেপ-তোষক বানাতে ব্যয়ও বেড়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা