২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গৌরীপুরে বাসচাপায় একই পরিবারের ৫ জন নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা
ময়মনসিংহে বাসের চাপায় প্রাইভেটকার আরোহী পাঁচজন নিহত হয়েছেন। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আজ শুক্রবার সকালে দ্রুতগতির একটি বাসের চাপায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলো- মাধবদি বাংলা টেক্সটাইলের মালিক রফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহীনা (৩৫), কলেজপড়ুয়া ছেলে নাবিল ইসলাম (১৯), মেয়ে রওনক জাহান (১৩) ও রফিকুলের শ্যালক আশরাফ (২৫)। 

পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া তিন বছরের শিশুপুত্র নাহিদকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (অঅইসিইউ) রাখা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্রাইভেটকার চালক সেলিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুরে। স্বপরিবারে বসবাস করতেন নরসিংদী জেলার মাধবদিতে। তারা ঈদের ছুটিতে এক চাচার বিয়ে উপলক্ষে স্বপরিবারে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুরে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন। শুক্রবার সকালে তারা মাধবদির নিজ ঠিকানায় ফিরছিলেন। 

গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ঈদের ছুটি শেষে নিজের প্রাইভেটকারে বর্তমান ঠিকানা মাধবদি ফিরছিলো। সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর নামকস্থানে পৌঁছলে কিশোরগঞ্জগামী এমকে পরিবহনের দ্রুতগতির অপর একটি বাস ওভারটেক করার সময় চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে একটি বড় গাছে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহীনা মারা যান। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, তার পুত্র নাবিল ইসলাম, কন্যা রওনক জাহান ও পুত্র নাহিদ এবং প্রাইভেটকার চালক সেলিমকে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এল কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, নাবিল ইসলাম ও মেয়ে রওনক জাহানকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। চালক পালিয়ে গেছে।

এছাড়া আশরাফ মারা গেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকাল সাড়ে ৩টায়। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এদিকে, পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়ে হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিকটআত্মীয় ও স্বজনরা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রফিকুলের চাচাতো বোন নাজনীন সুলতানা শম্পা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের সবাইকে একসাথে হারাবো সেটা ভাবিনি। ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একমাত্র বেঁচে আছে তিন বছরের শিশুপুত্র নাহিদ। আল্লাহ যেন ভাতিজা নাহিদকে বাঁচিয়ে রাখেন, সবার কাছে সেই দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

চাচাতো ভাই আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি প্রাইভেটকারকে বাঁচাতে গিয়ে এই প্রাইভেটকারটিকে চাপ দেয়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল