২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ট্রেনের ৪২৬ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা

ট্রেনের ৪২৬ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা - সংগৃহীত

জামালপুরের ইসলামপুরে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। ট্রেন টিকিটি কালোবাজারে বাস কাইন্টারে উপচেপড়া ভীড়। ঈদের পর দিন থেকেই ৪২৬ টাকার রেলের টিকেট ১৫০০ টাকা ও ৩০০ টাকার বাসের টিকিট ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখার সময়ও দিগুণ-তিনগুণ দামে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট জানা যায়, ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রেল রুটে দু’টি আন্তঃনগর, একটি বেসরকারি (কমিউটার) এবং সড়ক পথে কয়েকটি কোম্পানির বাস চলাচল করছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯৭টি আসন রয়েছে। সাতটি কেবিন, ৩০টি এসি চেয়ার ৬০টি, শোভন চেয়ায় ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে ১৪০টি আসনের মধ্যে ১০টি চেয়ার, ১৩০টি শোভন আসন রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি কমিউটার ট্রেনের ঢাকার জন্য ৬০টি ও ময়মনসিংহের জন্য ১০ আসন রয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনের ৫০ শতাংশ আসন অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ লাইনে দাড়িয়ে প্রদান করা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ স্টেশন কাউন্টারে কোন টিকিট পাচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে তারা কালোবাজারীদের বাড়ি থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করছে ।

বৃহস্পতিবার ঢেংগাগড় গ্রামের ট্রেনযাত্রী আব্দুস সামাদ অভিযোগ করেন, স্টেশন কাউন্টারে টিকিট নেই। টিকিট হচ্ছে কালোবাজারীদের বাড়িতে। কালোবাজারীরা এসি’র ৪২৬ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা, চেয়ার ২২৫ টাকার টিকিট ১০০০ টাকায় বিক্রি করছে।

মালমারা গ্রামের মাহমুদুল আক্ষেপ করে বলেন, কোন দেশে বাস করি। সরকারি কাউন্টারে টিকিট নেই। কালোবাজারীদের নিকট পাঁচ গুণ বেশি দামে টিকিট নিতে হয়। তিনি আরো বলেন, কি করবো পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থলে যেতে তো হবেই। তাই বাধ্য হয়ে কালোবাজারীদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, বেসরকারি কমিউটার ট্রেনের টিকিটও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা বলেন, ১০ টি টিকিট কিনলে একটি সিট দেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন টিকিট কালোবাজারী বলেন, এ টাকা শুধু আমরাই পাইনা। এর সাথে অনেকেই জড়িত রয়েছে। ইসলামপুর রেল স্টেশনে গিয়ে স্টেশন মাষ্টার মিজানুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অপরদিকে সড়ক পথে রাজিব, এসকে জননী, রংধনু ও শেরপুর ট্রাভেলসহ প্রায় ১০টি বাস চলাচল করছে। এসব বাস কাউন্টরেও ৩০০ টাকার টিকিট ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।


আরো সংবাদ



premium cement