১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেওয়ানগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে চুরির মামলা,ওসির অপসারন দাবি

ওসির অপসারণ দাবীতে সংবাদ সম্মেলন - নয়া দিগন্ত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজ শাহানশাহ’র বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার এবং দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারন দাবিতে সোমবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার সচেতন নাগরিকবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম গামারিয়া এলাকার আজিজুর রহমান, তার মেয়ে আলপনা বেগম প্রমুখ।
মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ বলেন, গত শুক্রবার সকালে আমি শুনতে পাই যে, পশ্চিম গামারিয়া এলাকার আজিজুর রহমানকে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। পরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি ঘটনাস্থল দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার চরভবশুর ঠোটাপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ বাছেদের বাড়িতে যাই এবং উপস্থিত লোকজনের সাথে কথা বলে আজিজুর রহমানকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। ওই ঘটনার জের ধরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গত শনিবার আমাকে প্রধান আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ বাছেদের স্ত্রী রেবেকা বেগম। ওই মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আজিজুর রহমান বলেন, চরভবশুর ঠোটাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ বাছেদ ও তার লোকজন আমাকে বেঁধে মারধর করেছে। খবর পেয়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ আমাকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় আমি দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ওই সময় পুলিশ বলেন, আপনি চলে যান, আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে আমি ভয়ে থানা থেকে দ্রুত চলে আছি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবিতে জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাসী। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা প্রসন্ন সরকার, নূরে আল সিদ্দিকী, শেখ মাসুদ, বাদল মিয়া, মহিলা কাউন্সিলর দোলেনা আক্তার, ব্যবসায়ী তারা মিয়া ময়নাল প্রমুখ।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, আজিজুর রহমান নামে কোন ব্যক্তি থানায় মামলা দেওয়ার জন্য আসেন নাই। তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে মারধরের ঘটনায় একজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের করার কি আছে?
এক প্রশ্নে জবাবে ওসি বলেন, ফৌজদারী অপরাধ করলে কাউকে জানানো লাগে না। এরপরও এ বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষ জানেন। আমি সকলকে অবহিত করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement