নালিতাবাড়ীতে নববধূর লাশ উদ্ধার
- নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা
- ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের স্বামীর ঘর থেকে তাসলিমা (১৯) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী পৌরসভার খালভাংগা মহল্লার মোফাজ্জল ওরফে কেরালুর মেয়ে তাসলিমার চড়পাড়া গ্রামের সফির উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমানের সাথে আড়াই মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। গতকাল বুধবার দুজনই রাতে খাওয়া-দাওয়া করে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে রাত তিনটার দিকে পাশের রুমে থাকা আনিসের মামী তছিরন একটি ফোন পেয়ে আনিসের ঘরে গিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা তাসলিমার লাশ দেখতে পান। পরে সকালে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর তাসলিমার স্বামী আনিস পলাতক রয়েছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, আত্ম্যহত্যা না হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে গলায় দাগ রয়েছে।
আরো পড়ুন :
মেহেদী রং না মুছতেই লাশ নববধূ, স্বামী আটক
নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
হাতের মেহেদী রং এখনো রয়েছে তাজা। স্বপ্ন ছিল স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসারে বসবাস করবে। কিন্তু সেই আশা চুরমার করে দিয়ে বিয়ের এক মাসের মাথায় দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো এক নববধূ। নিহত নববধূর নাম নাঈমা আক্তার(২১)।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজার এলাকার হান্নান মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে নাঈমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নববধূ নাঈমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ নাঈমার লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত নাঈমার স্বামী শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাসখানেক পূর্বে বাগেরহাট জেলার দেলোয়ারের কন্যা নাঈমা আক্তারকে বিয়ে করেন খুলনা জেলার রূপসা থানার তালিমপুরের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম। বিয়ের পর সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজার এলাকায় ছোটভাই আমিনুল ইসলামের বাসায় স্ত্রী নাঈমাকে নিয়ে বসবাস করছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে খাবারের জন্য আমিনুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম ডাক দিতে গেলে হাত, মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে নাঈমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী শহিদুল নববধূ নাঈমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহীন শাহ্ পারভেজ বলেন, গৃহবধূ নাঈমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে।
দোহারে পুকুর থেকে গলায় কলস বাঁধা নববধূর লাশ উদ্ধার
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা, ০৮ আগস্ট ২০১৮
ঢাকার দোহারে মেহেদির রঙ শুকাতে না শুকাতেই বিয়ের তৃতীয় দিনের মাথায় শিখা আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তার। তিনি দোহার ঘাটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সিরাজ মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দোহার উপজেলার ব্যাঙ্গারচর চৌধুরীপাড়াসংলগ্ন নববধূর শ্বশুরবাড়ির পুকুরে কচুরিপানা থেকে নিহত শিখার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ শিখার শাশুড়ি, ভাসুর ও দুই জাকে আটক করেছে। শিখার স্বামী রুহুল আমিন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উদ্ধারের সময় লাশের গলায় ওড়না দিয়ে কলস বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে লাশ লুকিয়ে রাখার জন্য গলায় কলস বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
নিহতের মা রুনু আক্তারের দাবি বিয়ের সময় মেয়েকে সাজানোর জন্য স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি কিছু এমিটেশন অলঙ্কার পড়ানো হয়। এ ঘটনায় বরের পরিবার নাখোশ ছিল। পরে তারা এমিটেশনের পরিবর্তে সমপরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার দেয়ার জন্য শিখাকে চাপ দেয়। শিখার বর রুহুল আমিন বাসর রাতে শিখাকে মারধর করে বেরিয়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকে। গত সোমবার তার মৃত্যুর খবর আসে।
দোহার থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
হবিগঞ্জে নববধূর লাশ উদ্ধার : স্বামী আটক
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা, ১২ আগস্ট ২০১৮
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই রুমি আক্তার (২২) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার হীরাগঞ্জ বাজারের একটি দু’তলা বাসায় এ ঘটনা ঘটে। রুমি উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের জালালসাফ গ্রামের আশ্বদ মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় জেআইসি স্যুট গার্মেন্টের কর্মী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী নূর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা