২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জামালপুরে ধানের শীষের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লাঠি-বৈঠা মিছিল - নয়া দিগন্ত

জামালপুর সদর, মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এদিকে জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় বিএনপি নেতাসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার দুপুরে আটক নেতাকর্মীদের জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ঘোড়াধাপ এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই এলাকায় ধারালো খুরের আঘাতে বিপ্লব নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে এবং এক আওয়ামী লীগ নেতার মোটরসাইকেল ভাংচুর হয়েছে। বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই তাদের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বোলাকীপাড়া গ্রামে বিএনপি অফিসে তালা দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে নৌকা প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ওই একই গ্রামে ও গাইবান্ধা ইউনিয়নের চরদাদনা গ্রামে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই তাদের অফিস ভাংচুর করেছে। এ ছাড়াও ইসলামপুরের চরপুটিমারী গ্রামে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের আদ্রা গ্রামে বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। একই গ্রাম থেকে বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার আলী আকবর ফকির ও বিএনপি কর্মী আমান উল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে নির্বাচনী অফিস ও কেন্দ্রে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবু নয়া দিগন্তকে বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। ওই মামলায় ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল