২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
জিএম সিরাজের সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অবরুদ্ধ ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া-৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ - নয়া দিগন্ত

গণসংযোগ করতে না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা, গাড়িবহরে হামলার পর মিথ্যা মামলা দায়ের ও নেতাকর্মীদের আটক এবং পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ধনকুন্ডিতে (ফুড ভিলেজে) জিএম সিরাজ এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে জিএম সিরাজ বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক তিনি গাড়িদহ ইউনিয়নে গণসংযোগ করার জন্য সকাল সাড়ে ১১টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়ার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণসংযোগ করতে নিষেধ করা হয়। সে সময় পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পৌরশহরে আওয়ামীগ প্রার্থী গণসংযোগ করছেন, তাই আপনি গাড়িদহে যাবার সময় যদি কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। তাই আজ সারাদিন কোনো প্রকার গণসংযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল পুলিশ তাকে গণসংযোগ করতে দিবে নাকি আবারো বাধা দিবে নিশ্চিত নয়। পুলিশের এই একতরফা আচরণ হতাশাজনক। তাছাড়া সরকারদলীয় লোকজন তাদের নেতাকর্মীদের হুমকি এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৪ ডিসেম্বর কুসুম্বী ইউনিয়নে গণসংযোগে যাওয়ার সময় বেলা ২টার দিকে হাপুনিয়া বটতলায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আমার ওপরসহ ধানের শীষের নেতাকর্মী ও গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ৪/৫টি মাইক্রোবাস ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পুলিশ হামলাকারীদের আটক না করে উল্টো শহর বিএনপির সভাপতি রাফু ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন, মামুনুর রশিদ আপেলসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। হামলার ঘটনার পর রাতে ৩২ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু, শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডুসহ শেরপুর ও ধুনটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement