২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জামালপুর-২ (ইসলামপুর)

আ’লীগ প্রার্থী দুলালের আয় বেড়েছে সোয়া ২গুণ

মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল - নয়া দিগন্ত

পাঁচ বছর আগে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ ফরিদুল হক খান দুলালের বাৎসরিক আয় ছিল ২১ লাখ টাকা। ব্যয় ছিল ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বাৎসরিক আয় ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা এবং ব্যয় ১৬ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে প্রায় সোয়া ২গুণ।

এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণও বেড়েছে। একাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।

পাঁচ বছর আগে দুলালের স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা কোনো টাকা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে মোঃ ফরিদুল হক খান দুলালের হাতে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল এবং তার স্ত্রীর হাতে ছিল নগদ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর হাতে আছে নগদ ১৫ হাজার টাকা।

পাঁচ বছর আগে তার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ টাকা। বর্তমানে তার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮ টাকা।

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে আরো দেখা গেছে, পাঁচ বছর আগে তার বাৎসরিক আয় ছিল কৃষিখাত থেকে ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ১৬ হাজার ৪৮১ টাকা, অন্যান্য- এমপি ভাতা ১৪ লাখ ৬ হাজার ১৭৫ টাকা ও রেমিটেন্স ৩ লাখ ২ হাজার ৮২২ টাকা।

বর্তমানে তার বাৎসরিক আয় কৃষিখাত থেকে ৮০ হাজার ১০৪ টাকা, ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, ব্যাংক আমানত থেকে ৫৪ হাজার ৪৪০ টাকা, অন্যান্য- মৎস্যখাত থেকে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও এমপি ভাতা ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৪ টাকা।

পাঁচ বছর আগে তার নামে শেয়ার ছিল ১ হাজার ৫০০টি, যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তার নামে একটি ফরচোনাল জীপ গাড়ি, যার মূল্য ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ১টি প্রাইভেটকার, যার মূল্য ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, তার নামে স্বর্ণ ১৫ ভরি, যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি স্বর্ণ, যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বর্তমানে মোঃ ফরিদুল হক খান দুলালের নামে শেয়ার ৫ হাজারটি, যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, তার নামে ১টি জীপ গাড়ি, যার মূল্য ৭০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১টি কার, যার মূল্য ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, তার নামে স্বর্ণ ১৫ ভরি, যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে স্বর্ণ ৩০ ভরি, যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ ফরিদুল হক খান দুলালের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। বর্তমানে তার পেশা (১) স্বত্বাধিকারীঃ- মেসার্স মোঃ ফরিদুল হক খান, ধর্মকুড়া বাজার, ইসলামপুর, জামালপুর, জুট বেলার, কৃষি ও মৎস্য ব্যবসা (২) পরিচালকঃ-জামালপুর প্রোপার্টিজ লিমিটেড। তার নিজ নামে কোনো দালান ও বাড়ী/এপার্টমেন্ট নেই। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে তার কোনো বাৎসরিক আয় নেই। বর্তমানে তিনি কোনো ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত নন। তবে ২০০৩ সালে ইসলামপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement