২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিমান ভেঙে মাঠে নেমেছেন ঈশ্বরগঞ্জের বিএনপি নেতারা

ঈশ্বরগঞ্জে নৌকা থেকে ধানের শীষে খালেকুজ্জামান
-

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি দলীয় প্রতীক ধানের শীষে শেষ পর্যন্ত ছাড় দিতে হয়েছে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের। প্রথমে তৃণমূল নেতাদের মাঝে অভিমান দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।

সোমবার দুপুর ১২টায় কাঠগোলাস্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক কর্মী সম্মেলনে বিএনপির নেতারা মাঠে নামার ওই ঘোষণা দেন।

জানা যায়, আজ থেকে ২৭ বছর আগে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিবির প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে ১৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। ওই সময় এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নান্দাইলের খুররম খান চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান। এবার তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। জোটের রাজনীতির গ্যাড়াকলে এবারের নির্বাচনে ঈশ্বরগঞ্জ আসনে ব্যালটে নেই নৌকা প্রতীক। নৌকার বদলে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) বর্তমান সাংসদ ফখরুল ইমাম।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এ এইচ এম খালেকুজ্জামানের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের জাটিয়া ইউনিয়নের টাঙ্গনগাতী গ্রামে। ইতোমধ্যে পেশায় তিনি একজন খ্যাতিমান আইনজীবী হিসেবে সুনাম খুঁড়িয়েছেন।

বিএনপির তৃণমূলের কয়েকজন নেতা বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু ভাইকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছিলাম ঠিকই। জাতীয় স্বার্থে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নামার জন্যে তিনিই আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা অভিমান ভেঙে ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম হারুন অর রশিদ ও সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ জানান, তারা ধানের শীষ প্রতীক পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলাম। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মনোনয়নপত্রও জমাও দেয়া হয়েছিল। এখন বৃহত্তর ঐক্যের প্রশ্নে এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে এইচ এম খালেকুজ্জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে। এখন তিনি আমাদেরই প্রার্থী। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশকে বেগম জিয়ার মুক্তির সনদ হিসেবে বুকে ধারণ করে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়েই আমরা ভোটযুদ্ধে নেমেছি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকব ইনশাআল্লাহ।


আরো সংবাদ



premium cement