২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কার হাতে থাকবে ধানের শীষ, শালা নাকি দুলাভাই?

কার হাতে থাকবে ধানের শীষ, শালা নাকি দুলাভাই? - সংগৃহীত

জামালপুর-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক এবং তার শালা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো.ওয়ারেছ আলী মামুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত দুইজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।

বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নে কে পাচ্ছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহলে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। ধানের শীষ পেতে উভয় প্রার্থীই এখন লোবিংয়ে ব্যস্ত বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, আমরা বিএনপি করি, ধানের শীষে ভোট দিব। যে ধানের শীষ পাবে আমরা তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো এবং তাকে বিজয়ী করবো।

জানা গেছে, এ আসনে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৮ জন ভোটার। এর মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৪১ জন নারী এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৭ জন পুরুষ ভোটার।

এ ব্যাপারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দল যদি সর্বশেষ আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে সর্বস্তরের নেতাকর্মী আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। মামুন আমারই শালা। আমার হাত ধরেই রাজনীতিতে তার প্রবেশ। মামুনের লোকজনও আমারই লোকজন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই আমি বিএনপির সাথেই আছি। দল আমাকে সম্মান দিয়েছিল-বলেই আমি একবার উপমন্ত্রীও হয়েছিলাম। আমি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী থাকাকালে ব্যাপক উন্নয়নে জনগনের পাশে ছিলাম। দলের সাথে আমার বেঈমানি করার সুযোগ নাই। দল যাকেই মনোনয়ন দিবে, আমরা সবাই তার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।

এদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ মো.ওয়ারেছ আলী মামুন সাংবাদিকদের বলেন, পুরো এক যুগ ধরে জামালপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের সর্বস্তরেই বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখতে রাত-দিন নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছি। অন্যান্য আসন থেকে এ আসনটি সুসংগঠিত। দলের সকল নেতাকর্মীরা আমার উপরই আস্থা রেখেছেন। তাদের আস্থার প্রতি সম্মান দিয়ে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, আমি সংসদ সদস্য হলে অবহেলিত এই জনপদের উন্নয়ন হবে। সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে, আমার বিজয় নিশ্চিত।


আরো সংবাদ



premium cement