১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কবর থেকে ৩টি কংকাল চুরি, এলাকায় তোলপাড়

কবর থেকে ৩টি কংকাল চুরি, এলাকায় তোলপাড় - ছবি : সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার শেকেরকুড়া গ্রামের সামাজিক কবরস্থান থেকে শুক্রবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ কংকাল চোরচক্রের সদস্যরা কবর খুঁড়ে তিনটি লাশের কংকাল চুরি করে নিয়ে গেছে। আজ শনিবার দুপুরে জনৈক মহিলা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার নজরে পড়লে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জনতে পারে।

চুরি হওয়া লাশের কংকালগুলো হলো দেড় বছর আগে মারা যাওয়া হাজী উসমান আলী, একই সময়ে মারা যাওয়া জমিলা বেগম ও চার মাস আগে ফাঁসিতে ঝুলে মারা যাওয়া রাসেল মিয়ার কংকাল।

জনৈক মহিলা জানান, শনিবার দুপুরবেলা কবরস্থানের পাশ দিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় কবরের খোঁড়া নতুন মাটি দেখতে পান। পরে কাছে গিয়ে দেখেন যে তিনটি কবরের বাঁশের ঢাকনা খোলা ও ভিতরে লাশ নেই, শুধু কাফনের কাপড় পড়ে আছে। এ সময় প্রতিবেশী ও লাশের স্বজনরা এসে চুরি হওয়া লাশ এবং কবরগুলো সনাক্ত করেন।

এদিকে, মাঝেমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কংকাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা কবর খুঁড়ে কংকাল চোরচক্রকে ধরতে তৎপর আছি। এছাড়াও আমরা উপজেলার কবরস্থান কমিটির লোকজনদের সাথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ করব।

বিশ্বনাথে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথ (সিলেট) সংবাদদাতা
বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়ক থেকে সুলতান মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয় (ইনসেটে সুলতান মিয়া) - নয়া দিগন্ত
সিলেটের বিশ্বনাথে সুলতান মিয়া (২৮) নামের এক শ্রমিকের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার দুর্বাকান্দা পাতাইরা গ্রামের আলকাছ মিয়ার পুত্র ও বিশ্বনাথের আজিজনগরস্থ এ আর ব্রিক ফিল্ডের ইট তৈরীর কারিগর।

শনিবার ভোরে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ইসরাব আলীর বাড়ির সামনে (পেট্রোল পাম্পের উত্তর পার্শ্বে) বিশ্বনাথ-রামপাশা রোড থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


জানা যায়, নিহত সুলতান মিয়া গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার কর্মস্থল এ.আর ব্রিক ফিল্ড থেকে বের হয়। আজ শনিবার সকালে কর্মস্থলে এসে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত শনিবার ভোরে রামপাশা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ইসরাব আলীর বাড়ির সামনে (পেট্রোল পাম্পের উত্তর পার্শ্বে) বিশ্বনাথ-রামপাশা রোডের উপর একটি মস্তক বিহীন লাশ ও রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে লাশের মাথা দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। 
এ সময় ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের দেয়া তথ্য মতে ও লাশের পরনের শার্টের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে লাশটি সুলতান মিয়ার বলে সনাক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সুলতান মিয়াকে হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়। লাশের সুরতহাল করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement