যেভাবে অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে ধরা খেলেন তারা
- হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ১২ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৪৫
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যুবতীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের দায়ে আটক হয়েছেন নব গঠিত হালুয়াঘাট পৌরসভার কর্মচারী আরফান আলী। আরফান আলীর বাড়ি গাজিপুরের টঙ্গী উপজেলায়। সে হালুয়াঘাট পৌরসভার শুরুলগ্ন থেকেই চাকুরী করে আসছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ছিল এমন অভিযোগ।
প্রায় দশ মাস পূর্বে উত্তর বাজার রফিকের বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন উপজেলার ২ নং জুগলী ইউনিয়নের ছাতুগাঁও গ্রামের আছমা (৩০) নামক এক যুবতী। স্থানীরা জানায় প্রায়ই অনৈতিক কাজকর্মের সাথে জড়িত ছিল আসমা।
বৃহস্পতিবার রাতে ঐ বাড়িতে আরফানের অবস্থান টের পেয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয় জনতার। পরে রাত দুইটায় অবৈধ কাজ করাবস্থায় আটক করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে রফিকের বাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায়।
আরো দেখুন : কাজের মেয়ের সাথে অধ্যাপকের অনৈতিক সম্পর্ক, গেল চাকরি
দিনাজপুর সংবাদদাতা; ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৯
কাজের মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অভিযোগে হাবিপ্রবি’র বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রমজান আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ আরো দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে যৌন নির্যাতনকারী ড. রমজান আলীসহ ৩ শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের বেঁধে দেয়া সাত দিনের সময়সীমার পঞ্চম দিনে এই বরখাস্ত আদেশ দিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম নেতৃবৃন্দ। অভিযুক্ত ৩ শিক্ষক হচ্ছেন হাবিপ্রবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রমজান আলী, ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষক মো. ফরিদুল্লাহ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক দীপক কুমার সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক ড. রমজান আলীর বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি অভিযোগ। যার মধ্যে রয়েছে ছাত্রীকে মানসিক হয়রানি, ক্যাম্পাসে কাজের মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও রাজশাহী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার স্ত্রীর যৌতুকের মামলা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত যৌন নির্যাতনবিরোধী সেল তদন্ত করে শিক্ষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য বলে রিপোর্ট দেয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক রমজান আলীকে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু তার দেয়া উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। গত সোমবার সকালে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক রমজান আলীর বহিষ্কার চেয়ে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক রমজান আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেয়।