২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দাম্পত্য কলহে গৃহবধু খুন : স্বামীসহ আটক তিন

-

দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামীর হাতে খুন হয়েছে গৃহবধু সুইটি আক্তার (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরি দুর্গাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরি দুর্গাপুর গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে বইলর ইউনিয়নের ভরাডোবা গ্রামের জয়নাল আবেদিনের মেয়ে সুইটি আক্তারের বিয়ে হয়। নিয়মিত কাজকর্ম না করায় ঠিক মতো সংসার চালাতে পারতোনা সাদ্দাম। এনিয়ে অনেকদিন ধরেই নিঃসন্তান ওই দম্পত্যির মধ্যে কলহ চলছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে বাপের বাড়ি চলে আসে সুইটি। সাদ্দাম শশুড়-শাশুড়ীকে বুঝিয়ে মঙ্গলবার সুইটিকে নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে। ওইদিন রাত ১২টার দিকে সাদ্দাম সুইটির ঘাড়ে দা দিয়ে কুপ দেয়। এতে মারাত্বক জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন হয় তার। ঘটনাটি সাদ্দামের বড় ভাই সিদ্দিক টের পায়। পরে সকাল ৭টায় রক্তাক্ত অবস্থায় সাদ্দামের ভাই শাহজাহান এবং আব্দুল্লাহ সুইটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসার সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ সাদ্দাম, তার বড় ভাই শাহজাহান এবং ছোট ভাই আব্দুল্লাহকে আটক করে ত্রিশাল থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ বিকেলে তার বাপের বড়ি ভরাডোবা গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সুইটির নৃশংস হত্যাকান্ডে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান লাভলু বলেন, সাদ্দাম ঠিক মতো কাজকর্ম করেনা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝড়গা হতো। ঈদের কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ি চলে আসলে ঈদের পর সাদ্দাম ক্ষমা চেয়ে বোনকে নিয়ে যায়। সাদ্দামের পরিবারের লোকজন আমাকে মোবাইল ফোনে সকালে ঘটনাটি জানালে আমি হাসপাতালে যাই।
ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা শরিফ হায়দার জানান, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে স্ত্রীর সাথে সাদ্দাম প্রায় সময় ঝগড়া করতো বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় সাদ্দামসহ তিনজনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement