২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জনবল ও এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কটে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস

-

চলতি বছরে ১১৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক আহতদের উদ্ধার ও ১৮টি আগুন নেভানোর সফলতায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জনগনের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের কর্মীরা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করলেও জনবল ও এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কটের ফলে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার সড়ক ত্রিশাল উপজেলার অন্তর্ভূক্ত। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কয়েকটি শিল্প কারখানা। এসবের গুরুত্ব বিবেচনা করে জনবহুল এ এলাকার জনগনের দীর্ঘদিনের দাবির পর ২০১৫ সালে ২৬ জুন ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন উদ্বোধন ও কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের ত্রিশাল অঞ্চলে প্রতিনিয়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে চলছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। হতাহতদের উদ্ধার করে পাঠাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জনবল ও এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কটের কারণে আহতদের দ্রুত উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফলে যথা সময়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আহতরা। তথ্যানুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ১১ তারিখ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৮ জন ও আহত হয়েছেন দুইশ ৮৮ জন।

গত ৫ জুলাই যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ৪০ জনের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা আহতদের রক্তে ভিজে ছিল হাসপাতালের মেঝে। আর আহতদের আত্নীয় স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালে নেই সার্জারির ব্যবস্থা। তাই মুমূর্ষুদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরে সহযোগিতা নিতে হয় ময়মনসিংহ ও ভালুকা ফায়ার সার্ভিস এ্যাম্বুলেন্সের।

এছাড়াও চলতি বছরে ২৮ টি আগুন নেভানোর কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন তারা। ওই ষ্টেশনে যারা কর্মরত আছেন তারা কেউ-ই স্থায়ী নন। তবে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশনটি গুরুত্বপূর্ন হওয়ায় অন্য কয়েকটি ষ্টেশনের কর্মী দিয়ে এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও ৬ জন ফায়ারম্যান সহ ৯ জনবল ছাড়াই কোন রকমে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে তাদের।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন ইনচার্জ মনিম সারোয়ার বলেন, নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় গুরুতর আহতদের উদ্ধারের পর আমরা বিপাকে পড়ি।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান জানান, ত্রিশাল ষ্টেশনের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি স্থায়ী না। বিভিন্ন ষ্টেশনের লোকজনকে দায়িত্ব দিয়ে এখানে কাজ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement