২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বগুড়ার ব্যবসায়ীদের পাওনা ৩৫ কোটি টাকা পুঁজি হারিয়ে অনেকের পেশা পরিবর্তন

-

 

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বগুড়ার ১৫ জন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীর পাওনা রয়েছে ৩৫ কেটি টাকা। বকেয়া আদায় না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পেশা বদলে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহর, শেরপুর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এ সমিতির সদস্য রয়েছেন ৩৮৭ জন। এর মধ্যে গত কয়েক বছরে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পুঁজি আটকে থাকা এবং সিন্ডিকেটের কারণে লোকসানে পুঁজি হারিয়ে অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রিকশা চালিয়ে, নিরাপত্তা কর্মী বা দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার মধ্যম শ্রেণীর ব্যবসায়ীরাও পুঁজিসঙ্কটের কারণে অনেকে চামড়ার ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য কাঁচা চামড়ার ব্যবসায় করছে। কিন্তু তারাও ট্যানারি মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বগুড়ায় ট্যানারি না থাকায় বগুড়ায় সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু গত তিন বছরে ট্যানারি মালিকদের কাছে বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। তাই আড়তদাররা বাকিতে আর ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে চায় না। ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি গত কোরবানির দিন প্রায় ৩০০ পিস গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন। এরপর কিছু লাভে একজন বড় আড়তদারের কাছে বাকিতে বিক্রি করেছেন। সে টাকা কবে পাবেন তা নিশ্চিত নন।
আড়তদার আবুল হোসেন সরকার জানান, তিনি আগে বাকিতে চামড়া বিক্রি করে এখন পুঁজিসঙ্কটে রয়েছেন। তাই অন্য একজনকে ব্যবসায় অংশীদার করে কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছেন। এসব চামড়া লবণ দিয়ে নিজের গুদামে রেখেছেন। তবে তিনি জানান, ট্যানারি মালিকদের কাছে আর বাকিতে চামড়া বিক্রি করবেন না।
জানা গেছে, গত কোরবানিতে বগুড়ায় সংগ্রহ করা হয়েছে ( রোববার পর্যন্ত ) প্রায় ৬০ হাজার পিস। এ ছাড়া শেরপুরে প্রায় ৩০ হাজার পিসসহ অন্যান্য স্থানে আরো ৩০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব চামড়া স্থানীয় মওসুমি ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা পানির দামে কিনেছে। বগুড়ায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত। তবে খুব বড় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ছাগলের চামড়ার দাম কোথাও ২০-৩০ টাকা আবার কোথাও কেনেনি ব্যবসায়ীরা। এদিকে বগুড়া প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাব মতে, জেলায় এ বছর গরু কোরবানি হয়েছে তিন লাখ ২৭ হাজারটি। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, জেলায় যদি দেড় লাখ চামড়াও সংগ্রহ হয়ে থাকে বাকি চামড়া গেল কোথায়। কেউ কেউ বলেছেন, বগুড়ার চামড়া পাচার না হলেও অনেকে ভারতে পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ ভারতে চামড়ার বাজার অনেক বেশি।
তবে অনেকে বলেছেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় চামড়া লবণ দিয়ে গুদামজাত করা হয়েছে। এভাবে লবণ দিয়ে দুই মাস থেকে আড়াই মাস চামড়া সংরক্ষণ করা যাবে।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসাযী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার জানান, চামড়া কোথায় বিক্রি করা হবে তা ঢাকায় মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আর বাকিতে বিক্রি করা হবে না। ট্যানারি মালিকদের কাছে গত তিন বছরের বকেয়া ৩৫ কোটি টাকা আদায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল