২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদের আগে গরম মসলার বাজার

-

ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হচ্ছে মসলার বাজার। পেঁয়াজের দাম এরই মধ্যে বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। খুচরাবাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। আদার দাম ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। রসুনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। দাম বেড়েছে জিরা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ প্রভৃতিরও। খুচরা বিক্রেতাদের দাবিÑ পাইকারিবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও বাড়াতে হয়েছে। আর পাইকাররা দায়ী করছেন আন্তর্জাতিক বাজারকে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ-কষ্ট থাকলেও সবই চলছে নিজস্ব নিয়মে।
পাইকারিবাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান ও চায়না জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। খুচরা বাজারে এসে এ দাম হয়ে যাচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। গত সপ্তাহে এ জিরা পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় এবং খুচরা বাজারে ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। পাইকারিবাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়, গত সপ্তাহে যা পাওয়া যেত প্রতি কেজি ৯০০ টাকার মধ্যে। পাইকারিবাজারে বর্তমানে এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫৫০ টাকায়, সপ্তাহ তিনেক আগেও যা বিক্রি হয়েছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি লাল মরিচের দাম এখন ১৬০ টাকা। মসলার বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাবাব চিনির (বিরিয়ানি রান্নাতে যেটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত)। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। খুচরাবাজারে এসব মসলার দাম বেড়েছে আরো বেশি।
পাইকারি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়। সপ্তাহ দুই আগেও এখানে পাইকারিতে পণ্যটির মূল্য ছিল ১৪০০ টাকা। সে হিসাবে এ সময়ের মধ্যে পাইকারিতে জয়ত্রীর দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিরিয়া থেকে আনা প্রতি কেজি জিরার দাম বেড়েছে ২০ টাকা। পাইকারিবাজারে চীন থেকে আনা দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকায়। ১৫ দিন আগেও বাজারে একই মানের দারুচিনি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিবাজারে দারুচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা দারুচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারিবাজারে প্রতি কেজি ভিয়েতনামের দারুচিনি বিক্রি হয়েছিল ২৫০ টাকার নিচে। কিন্তু বর্তমানে এর দাম কখনো কখনো প্রতি কেজি ২৬৫ টাকাও ছাড়িয়ে গেছে।
গরম মসলার কয়েকজন আমদানিকারকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জিরা আমদানি করা হয় প্রধানত তুরস্ক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ভারত থেকে। বিশ্বের মোট জিরা উৎপাদনের ৭০ শতাংশই ভারতের দখলে। দারুচিনি আমদানি করা হয় ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ভিয়েতনাম থেকে। লবঙ্গ আমদানি করা হয় ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার ও তানজানিয়া থেকে। বিশ্বের মোট লবঙ্গ উৎপাদনের ৮০ শতাংশই ইন্দোনেশিয়ার দখলে। এলাচ আমদানি করা হয় গুয়াতেমালা, ভারতের কেরালা ও তামিলনাডু থেকে। গুয়াতেমালা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলাচ উৎপাদক দেশ। বাংলাদেশে বেশির ভাগ এলাচ আসে তামিলনাডু থেকে। সেখানে এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এলাচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, এ জন্যই দেশের বাজারে এলাচের দাম বাড়তি।
বিক্রেতাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব ও বাজেটে শুল্ক বাড়ানোর কারণে মসলা পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তারা জানান, দেশে চাহিদা বাড়লেও যেসব পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ যথেষ্ট আছে, সেগুলোর দাম স্থির রয়েছে। আর যেগুলোর দাম বিশ্ববাজারে বেড়েছে সেগুলো দেশের বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এ কথা সবাই স্বীকার করছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যে হারে বেড়েছে আমদানিকারকরা বাড়িয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। আবার পাইকারিবাজারে দাম ১০ টাকা বাড়লে খুচরা বিক্রেতারা বাড়িয়ে দেন ৫০ টাকা। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে এ দেশের বাজারব্যবস্থা কোনো দিনই ক্রেতাবান্ধব হবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


আরো সংবাদ



premium cement
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’

সকল