১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কক্সবাজারে আত্মস্বীকৃত ৯৭ ইয়াবা কারবারির বিচার শুরু

-

কক্সবাজারে আত্মস্বীকৃত ৯৭ জন ইয়াবা কারবারির বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানি শেষে চার্জ গঠন করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
এই মামলার ১০২ জন আসামির মধ্যে এক আসামি কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। অন্য চার আসামি উপস্থিত হননি। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, অ্যাডভোকেট মো: মঈনউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট সেলিম। পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১), ১০(গ) ৪০/৪১ ধারায় ৯৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। একই আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনে আরেক মামলা এক মাস পরে শুনানি শেষে চার্জ গঠন করা হবে। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। ওই অনুষ্ঠানে তারা সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা, ৩০টি দেশে তৈরি বন্দুক এবং ৭০টি গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথে স্বাগত জানানো হয়। ১০২ ইয়াবা কারবারির মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুণ্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো: সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো: তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ প্রমুখ।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন, বদির চার ভাইসহ আট স্বজন। ভাইদের মধ্যে রয়েছেন- আবদুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান, মো: ফয়সাল রহমান ও শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া বদির ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল, খালাতো ভাই মংমং সেন ও বেয়াই শাহেদ কামাল রয়েছেন।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে সাত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন- টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের জামাল হোসেন, নুরুল হুদা মেম্বার, সাবরাং ইউপির শামসুল আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন দানু, রেজাউল করিম রেজু, সদর ইউপি মেম্বার এনামুল হক, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়া।

 


আরো সংবাদ



premium cement