২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ : তদন্ত কমিটি গঠন

-

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রিন্টিং প্রেস অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ঝিনাইদহ জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবী নেকবার হোসেন স্বাক্ষরিত এক ডিমান্ড নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশ সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলামের সাথে তার মক্কেল মাসুদ করিমের ঘনিষ্ঠতার সূত্রে ইবি ভিসি ড. রশিদ আসকারীর বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ধার চান। তার সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এবং ভিসির প্রয়োজন শুনে মাসুদ ১০ লাখ টাকা ধার দিতে রাজি হন। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি মাসুদের কাছ থেকে মনিরুল ভিসিকে দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা হ্যান্ডক্যাশ ঋণ নেন। এ বছরের ১৩ জানুয়ারি সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন; কিন্তু তিনি ওই তারিখে টাকা প্রদানে অপারগ হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক, ইবি শাখার ৪২৯৬ হিসাব নম্বরে একটি চেক প্রদান করেন, যার চেক নম্বর ১১৮১-৩২৯৮৩১১ এবং টাকার পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। পরে মাসুদ চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দেন। এ সময় অপর্যাপ্ত তহবিল ও স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপ-সহ চেক ফেরত দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মাসুদ বিষয়টি মনিরুলকে অবহিতের পরেও তিনি টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও মনিরুল প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দেশ্যে মাসুদকে চেক প্রদান করেছেন বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়। ডিমান্ড নোটিশে মনিরুলকে জানানো হয় যে, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মাসুদকে সমুদয় টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার অপরাধ বিবেচনায় মোকদ্দমা করা হবে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ করিম বলেন, ‘বিশ্বাস করে আমি তাকে ১০ লাখ টাকা ধার দিই; কিন্তু পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে গেলেও তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। পরে তিনি আমাকে একটি চেক দিলেও সে পরিমাণে টাকা তার হিসাবে নেই বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে, যার কারণে আমাকে আইনজীবীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’ অভিযুক্ত ইবি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মাসুদ তার পারিবারিক ঝামেলার কথা বলে তিন মাস আগে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক নেয়। পরবর্তী সময়ে কারো প্ররোচনায় পরে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
আমি অচিরেই তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব সংশ্লিষ্টদের কাছে।’


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম

সকল