২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুমিল্লা ও ভাণ্ডারিয়া থেকে ৪ রোহিঙ্গা আটক

-

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং কুমিল্লা থেকে মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যসহ চার রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং অপর তিনজনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তিন মানবপাচারকারী ও তাদের কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভাণ্ডারিয়া থেকে মো: জামাল (২১) নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাচনাইন পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জামাল গত রোববার পিরোজপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন করার পর ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যায়। এ সময় জানা যায় জামাল মিয়ানমারের নাগরিক। এরপর সে ফিঙ্গার প্রিন্ট না দিয়ে ভাণ্ডারিয়ায় চলে যায়। পাসপোর্টের আবেদনে জামাল তার বাবার নাম মো: মিজান সিকদার, মায়ের নাম শাহিনুর বেগম সাং ভাণ্ডারিয়া ২নং ওয়ার্ড লিখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানায়, সে মিয়ানমারের নাগরিক, বাবা আমির হোসাইন, মায়ের নাম বেলুয়া বেগম, সাং রাম্যখালী থানা ডেমিনা জেলা রাখাইন (আরাকান)। তার আরো দুই ভাই আবু তৈয়ব ও আবু হায়াত এবং তিন বোন রুখাইয়া, জামালিডা, সোমাকে নিয়ে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে। এরপর তারা কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে র্যাব। জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারীসহ রোহিঙ্গা সদস্যদের আটক করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রামের ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় অভিযানে গ্রেফতার হওয়া মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্মসনদ, কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি কম্পিউটার, দুইটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, সাতটি মোবাইল ফোন এবং ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়, যা ওই পাচারকারী চক্র তৈরি করে তার মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রস্তুত করে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
পাচারকারী তিন সদস্য হলোÑ উপজেলার কাপড় চতলী এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো: আব্দুর রহিম রুবেল (২৫), ফজলুল হকের হকের ছেলে নূরুল হক (২৯) এবং ডিমাতলী এলাকার মো: কামাল উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহাম্মেদ রনি (৩২)। তিনজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তারা হলোÑ ২০১৭ সালে আগত বালুখালী পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী, একই বছর আগত ট্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মো: জাহেদ হোসেন (২৫) এবং ২০১৩ সালে আগত কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সি/৩ এর মো: হাকিম শরিফের ছেলে মো: রফিক (৩৭)।


আরো সংবাদ



premium cement