২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইসিজের আদেশ সহায়ক হবে : আইনমন্ত্রী

-

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিজে) আদেশ বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক ভ‚মিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে। বাংলাদেশ গত ১১ বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কেউ পিছিয়ে থাকবে নাÑ এটিই সরকারে মূলমন্ত্র। সরকার এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।
কর্মশালায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, সরকার সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আইসিজে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে আদেশ দিয়েছে তা নির্যাতিত সব মানুষের মানবাধিকারের জয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, রাষ্ট্রের সব যন্ত্র একই সাথে সমানতালে কাজ করলেই মানবাধিকার রক্ষা হবে। এ জন্য শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ইউপিআর ফোরামের ২৫১টি সুপারিশের মধ্যে ১৭৮টি চ‚ড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ৭৩টি সুপারিশের বিষয়ে নিজস্ব বক্তব্যসংবলিত ‘নোট’ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের গৃহীত সুপারিশগুলোর মধ্যে ২৫টি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা সম্পর্কিত। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদের চলতি অধিবেশনে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছে। এসব সুপারিশ গ্রহণ ও ইউপিআরের তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের গঠনমূলক সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯।
গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন জোটটির রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক।
অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোও উপস্থিত ছিলেন।
ইউপিআর জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চার বছর পর পর নিজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে, যা ইউপিআর ফোরামের অন্য সদস্যরা পর্যালোচনা করে। ইউপিআর পদ্ধতির আওতায় ২০০৯, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল