২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এস কে সিনহাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

-

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহাসহ পলাতক ১১ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৫ জানুয়ারি দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালত সে পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
অপর আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহ উদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপনকুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো: শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জনচন্দ্র সাহা, রণজিৎচন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এবং ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো: মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শাহজাহান ও নিরঞ্জনচন্দ্র সাহার নামে ফারমার্স ব্যাংকের মঞ্জুরকৃত ঋণের চার কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহার হিসাবে জমা হয়। সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৪৪৩৫৪৩৪০০৪৪৭৫-এ জমা হওয়ার পর ওই টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হতে এবং অন্যদের লাভবান করতে এ ধরনের অপরাধ করেন।
তারা অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে চার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন। অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় ও অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা রূপান্তর ও নিজ আত্মীয়র নামীয় হিসাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে সেই অর্থ নিজেদের ভোগদখলে রেখে তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেছেন মর্মে তদন্তে প্রমাণিত হয়। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গত ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। গত ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দাখিল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ

সকল