২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শ্রীপুরে নামের সাথে মিল করাতকলের মালিকের পরিবর্তে জেল খাটছেন চাবিক্রেতা

-

গাজীপুরের শ্রীপুরে নামের মিল থাকায় বন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি করাতকল মালিকের পরিবর্তে এক চাবিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত চাবিক্রেতা গত পাঁচ দিন ধরে জেলহাজতে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ প্রকৃত আসামি ওই করাতকল মালিক উচ্চ আদালত
থেকে জামিনে রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতের বাবা ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড দারগারচালা (মসজিদ মোড়) এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল
ইসলাম একজন চাবিক্রেতা। চা বিক্রি করে তিনি সংসার চালান। তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭৭। তার বাবার নাম নূর মোহাম্মদ এবং
মায়ের নাম জামিনা খাতুন। অপর দিকে মামলার প্রকৃত আসামি কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের বেগুন বাড়ি এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে করাতকল মালিক রফিকুল
ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী রফিকুল ইসলামের বাবার নাম নুর মোহাম্মদ এবং মায়ের নাম রহিমা খাতুন। তার জন্ম তারিখ ১৬ জানুয়ারি ১৯৮০
এবং ভোটার সিরিয়াল নং ১৬১১।
শ্র্রীপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন করাতকলে গজারি গাছ চেরাই করার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শ্রীপুর সদর বন বিট অফিসার
সহিদুর রহমান কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের বেগুনবাড়ি এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে করাতকল মালিক রফিকুল ইসলামকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
(বন) আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত এ মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে শ্রীপুর থানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ পাঠান।
গ্রেফতারকৃতের বাবা আরো জানান, গত শুক্রবার শ্রীপুর থানা পুলিশের এএসআই কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে
দারগারচালা মসজিদ মোড় এলাকায় যায়। এ সময় পুলিশ আসামির ও বাবার নামের সাথে মিল থাকায় ভুলক্রমে প্রকৃত আসামি করাতকলের মালিকের পরিবর্তে
চাবিক্রেতা রফিকুল ইসলামকে তার দোকান থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সময় উপস্থিত এলাকাবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানালেও তারা আমলে নেয়নি।
এ ব্যাপারে ওই মামলার প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে করাতকলের ব্যবসা করে আসছেন। মামলাটি তার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। এ
মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
শ্রীপুর থানার এএসআই কফিল উদ্দিন বলেন, চাবিক্রেতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘ সময় থানায় রাখা হয়। কিন্তু তখন কেউ ব্যাপারটি জানায়নি।
শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আক্তার হোসেন বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তি মামলার প্রকৃত আসামি কি না সে ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি নিরাপরাধ
হলে আইন তার পক্ষে কাজ করবে।


আরো সংবাদ



premium cement