ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৪৫
অবশেষে ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে ২২ জানুয়ারি থেকে। এ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এ বছরের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে। প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিববর্ষের উপহার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একে একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজড। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো লেগেছিল। আজ এর সুফল সবাই পাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এ কাজ করছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথমে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী এবং আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাংলাদেশের সর্বত্র চলে যাবে। অর্থাৎ দেশের ৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিসে এবং বাংলাদেশে ৮০ বিদেশী মিশনে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত এমআরপিগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপিত না করা পর্যন্ত ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি ব্যবহারও চলমান থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবেদনপত্র ডাউনলোডের পর পূরণ করে জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত কিছু লাগবে না। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। অতি জরুরি দুই দিনে, কম জরুরি সাত দিন ও ১৫ দিনে এ পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। সেটির নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনো রোহিঙ্গার ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নেই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁকফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যান, তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে, তবে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়। প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা