১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা থেকে ওয়াকআউট

হজের বিমান ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের

-

আসন্ন হজে যাত্রীপ্রতি বিমানভাড়া গত বছরের চেয়ে ২৬ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা নির্ধারণে আপত্তি জানিয়ে গতকাল সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা থেকে ওয়াকআউট করেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আবদুল্লাহ ও হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তারা বিমান ভাড়া বৃদ্ধির পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা কমানোর পক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয় বলে জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় নানা যুক্তি দেখিয়ে বিমানভাড়া এক লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্রস্তাব করে। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের পক্ষ থেকে বিমান ভাড়া বড়জোর স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও কিছু বেশি হিসেবে এক লাখ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাবিত ভাড়ার চেয়ে কমাতে রাজি না হওয়ায় সভা থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও হাব সভাপতির নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে আসেন। গত বছর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও হাবের অনুরোধে বিমান ভাড়া ১০ হাজার টাকা কমিয়ে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের পক্ষ থেকে যুক্ত হিসেবে বলা হয়, সৌদি এয়ারলাইন্স ডিসেম্বর মাসে ৪২ হাজার ৪১৬ টাকা ভাড়ায় ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করেছে। হজের সময় বিমানযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব গেলেও ফেরার সময় খালি আসে। সেজন্য তাই বর্তমান হিসাবে দ্বিগুণ ভাড়া ধরা হলে ৮৪ হাজার ৮৩২ টাকা ও তিন গুণ ধরলে এক লাখ ২২ হাজার ৫২৪ টাকা হয়। তাই এক লাখ ১০ হাজার টাকা ধরা হলেও দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, হজের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। গত বছর আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া ১০ হাজার কমিয়ে আনা হয়। আমরা এ বছরও ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে আরো কিছুটা কমানোর প্রস্তাব করেছি। কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় তার পরিবর্তে বর্ধিত ভাড়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থাকলে বিরোধিতা করেছি আমরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর ১০ হাজার বিমান ভাড়া কমানোর পরও সৌদি সরকারের বিভিন্ন ফি বৃদ্ধির কারণে হজ প্যাকেজ মূল্য সেভাবে কমানো সম্ভব হয়নি। সরকার হজ প্যাকেজ মূল্য যেখানে আরো কিছু কমিয়ে আনতে চায়। সে ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement