ডিআইজি মিজান ও দুদক কর্মকর্তা বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৪৫
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় পুলিশের ডিআইজি (বর্তমানে বরখাস্ত) মিজানুর রহমান ও দুদকের পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালত সূত্র জানায়, গতকাল রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্লা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর বিচারক অভিযোগপত্র দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে দুদক পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) খন্দকার এনামুল বাছিরকে গত বছরের ১০ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২২ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। অপর দিকে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানকে ২৫ জুন সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গত বছরের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্লা।
দুদক সূত্র জানায়, খন্দকার এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্ব থাকাকালে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ডিআইজি মিজানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি। একইভাবে ডিআইজি মিজান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় বাছিরকে ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করেছেন। তদন্তকালে উভয়ের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।
এ ছাড়া ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে দুদক মিজানুরের বিরুদ্ধে ২৪ জুন একটি মামলা করে। মামলায় মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতয়ালি থানার তৎকালীন এসআই মো: মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মিজানের বিরুদ্ধে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছিল। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৮ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা