২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছয় দিনেও উদ্ধার হয়নি রংপুরে অপহৃত ব্যবসায়ী পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেফতার ৩

-

অপহরণের পর ছয় দিন পার হয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি রাজধানীর হাজিরবাগ এনায়েতগঞ্জ লেনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ও আরবান হেলথ কেয়ার অ্যাডমিন অফিসার তোশারফ হোসেন। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন স্বজনরা অবিলম্বে তাকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। এ দিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল হোসেন, তার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম ও পপির বাড়ির কাজের ছেলে বিপুল কুমার রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপহৃত তোশারফ হোসেনে ছোট বোন সাজিয়া আফরিন নয়া দিগন্তকে জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কনেস্টবল রবিউল হোসেনের কাছ থেকে কাজের মেয়ে আনার উদ্দেশ্যে আমার বড় ভাই তোশারফ হোসেন (৪০) গত ১০ জানুয়ারি রাতে রওনা দিয়ে ১১ জানুয়ারি সকালে রংপুর মহানগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখান থেকে পুলিশ কনস্টেবল রবিউল হোসেন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় আমার ভাবির সাথেও আলাপ করে রবিউল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায় হঠাৎ করেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। পরে রবিউলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাজের মেয়ে নিয়ে তোশারফকে দ্রæত পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর সে আবার জানায়, কাজের মেয়ে পাওয়া যায়নি, তোশারফ একাই চলে গেছে। এতে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা ১২ তারিখে ঢাকায় একটি জিডি করি এবং ১৩ জানুয়ারি রংপুর আসি। কিন্তু রবিউল আমাদের সাথে দেখা না করে টালবাহানা শুরু করে। আমরা থানায় বিষয়টি অবহিত করি। ১৬ জানুয়ারি রাতে আমরা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি।
এর পরিপ্রেÿিতে পুলিশ প্রধান আসামী রংপুরের তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি মসজিদ পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কনস্টেবল পুলিশ রবিউল ইসলাম (২৬), তার দুলাভাই রংপুর সদর উপজেলার ইশ্বরপুর মধ্য থা গ্রামের আবদুস সালেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮) ও সদর উপজেলার দÿিণ মমিনপুর ÿত্রিয় পাড়ার গজেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে বিপুল কুমার রায়কে (৪৩) গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
সাজিয়ার আফরিন জানান, আমরা চাই আমার ভাইয়ের জীবিত উদ্ধার। তোশারফের স্ত্রী ও তিন সন্তান তার ফেরার অপেÿায় আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement