স্বৈরাচারের দোসর ক্ষমতাকে এখন চিরস্থায়ী পৈতৃক সম্পত্তি মনে করছে ডা: শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি চট্টগ্রামে এসে পুরো চট্টগ্রামবাসীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। চট্টগ্রামবাসী আশা করছিলেন, তিনি চট্টগ্রামের জন্য খুশির কোনো খবর দেবেন; কিন্তু তিনি বলে গেলেন, বাংলাদেশের সব খাদ্যে ভেজাল। শুধু কচুতে ভেজাল নেই। তাই কচু খেতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন। রাষ্ট্রপতি, আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন খাদ্যে ভেজাল, তাহলে আপনি পদত্যাগ করছেন না কেন? বর্তমান সরকারকে এরশাদের চেয়ে ‘বড় স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার এরশাদ দুই শ’র মতো মানুষকে হত্যা করেছিল। আর এই সরকার গত ১১ বছরে হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী মানুষকে হত্যা করেছে। এই অবৈধ সরকারকে খুন-গুমের জন্য ভবিষ্যতে জবাবদিহি করতে হবে। আজকে আমরা গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে স্বৈরাচারের পতনের পদধ্বনি শুনছি।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদই আওয়ামী লীগের মৌলিক চরিত্র। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তা পরিচর্চা করে না। ক্ষমতাকে তারা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে, তা টিকিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবই করে। দেশে ভয়াবহ সঙ্কট চলছে, অথচ তাদের সে দিকে কোনো খেয়াল নেই। সরকার সব গণতান্ত্রিক খাতগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আমাদেরকে বাইরে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসেন, নুরুল আকতার, ডা: এস এম সরওয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়–য়া, থানা সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, বাবুল হক, কাউন্সিলর মো: আজম প্রমুখ।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, অতীতে এরশাদের পাতানো নির্বাচনে গিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বেঈমানের খেতাব পেয়েছিলেন। এরশাদ সেই ঋণ শোধ করার জন্য মহাজোট সরকারে অংশ নিয়েছেন। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম এখনো ২০০ টাকার উপরে। বিদেশ থেকে হাজার হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। আওয়ামী লীগের পেঁয়াজ সিন্ডিকেট তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতারা এখন কেউ আওয়ামী লীগের সাথে নেই। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, আওয়ামী লীগ এরশাদের পতন চায়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বৈরাচার এরশাদের দলকে নিয়েই তারা সরকার গঠন করেছিল।