ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা দিবস পালিত

ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা দিবস পালিত হয়েছে গতকাল। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের এই দিনে ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। সকাল ৯টায় সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরা হলেনÑ জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।
এদিকে বিচারক হত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকেরা। সকাল সাড়ে ৮টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পুষ্পúার্ঘ অর্পণ করেন জেলা ও দায়রা জজ মো: শহীদুল্লাহ। পরে জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল মান্নান রসুল ও বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকরেরা নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিকেলে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।