রাজশাহীতে সেই পাখিদের বাসাভাড়া দেবে সরকার
- রাজশাহী ব্যুরো
- ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
অবশেষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের সেই আম বাগানেই ‘স্থায়ী নীড়’ হচ্ছে ‘বাড়ি ছাড়ার নোটিশ’ পাওয়া শামুকখোল পাখিগুলোর। তাদের হয়ে ‘বাসা ভাড়া’ দেবে সরকার। এরই মধ্যে তাদের বাসা ভাড়ার টাকা নির্ধারণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সেই আবেদন পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়েও। অনুমোদন পেলে পাখিগুলোর বাসা ভাড়া হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত আমবাগান ইজারাদার বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে শর্ত একটাই- বাসা ভাঙা যাবে না।
পাখিরা বাসা ভাড়ার টাকা পাচ্ছে জানিয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, ঘটনাটি নজরে আসার পরপরই পাখির বাসা রক্ষার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে হাইকোর্ট থেকেও নির্দেশনা আসে। তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন। তিনিই সব নির্দেশনা দেন। পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই আমবাগানে গিয়ে জরিপ চালান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন রেজার নেতৃত্বে তারা বাগানে গিয়ে দেখেন, মোট ৩৮টি আমগাছে বাসা বেঁধেছে শামুকখোল পাখিগুলো।
আমগাছে শামুকখোল পাখির বাসাজরিপ শেষে ওই আমগাছগুলো থেকে বছরের সম্ভাব্য আম উৎপাদন ও তার সম্ভাব্য দাম নিরূপণ করেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি হতে পারে বাগান মালিক বা ইজারাদারের। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর তারা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন। নিরীক্ষণের পর প্রস্তাবনাসহ সেই প্রতিবেদন কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠান জেলা প্রশাসক।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো: হামিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, এই টাকা আম বাগানের মালিক বা ইজারাদারকে দেয়া হবে। পাখিদের জন্য প্রতি বছর এই ব্যয় বহন করবে সরকার। শিগগিরই বাসা ভাড়ার টাকা ছাড় হবে বলে প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে গ্রামের আমবাগানের কয়েক হাজার শামুকখোল পাখিকে ১৫ দিনের মধ্যে তাড়িয়ে দেয়ার নোটিশ দেন বাগান ইজারাদার আতাউর রহমান। তবে বাদ সাধেন স্থানীয় কিছু পাখিপ্রেমী। এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর পাখির আবাসস্থল রক্ষার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
গত চার বছর ধরে বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে রয়েছে। তারা বর্ষা শেষে এই বাগানে গিয়ে বাচ্চা ফোটায়। শীতের শুরুতে বাচ্চারা উড়তে শিখলে তাদের নিয়ে চলে যায়। এবার পাখিরা ইতোমধ্যেই বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছে। তবে বাচ্চারা এখনো উড়তে শেখেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা