২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শীতলক্ষ্যা তীরে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে পঞ্চম দফা অভিযানের দ্বিতীয় দিনে দখলকারী এনার্জিপ্যাক হ্যামকোসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার সকাল থেকে উপজেলার খৈসাইর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অনুমোদনের বাইরে নদী ভরাট ও দখল করায় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া জব্দকৃত ইট, বালু ও কয়লা নিলামে প্রায় ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, রূপগঞ্জের খৈসাইর এলাকার নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে এএসবি ব্রিকফিল্ড, জিএসবি ব্রিকফিল্ড, এসএনআর ব্রিকফিল্ড, এমএনবি-১ ব্রিকফিল্ড, এমএনবি-২ ব্রিকফিল্ড, বিআইপি ব্রিকফিল্ড, এসটিএ ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ছাড়া খৈসাইর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে লোড-আনলোডের জন্য এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ভাসমান জেটি নির্মাণের অনুমোদন নিলেও নদী ভরাট ও দখল করে নির্মাণকাজ করছিল। পরে কারখানাটির মালিকপক্ষকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ সময় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কারখানাটির কর্তৃপক্ষ আগামী দুই মাসের মধ্যে ভরাটকৃত অংশ খননের মাধ্যমে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়া হবে মর্মে মুচলেকা দেন। অন্য দিকে হ্যামকো ব্যাটারির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিম জানান, নদী দখলদাররা যত প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement