২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা সামছুদ্দোহার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

-

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ কে এম সামছুদ্দোহা পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষবাণিজ্য, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ সম্প্রতি আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
মিরপুর হাউজিং এস্টেটের সোনা মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীর দুদকে দাখিল করা অভিযোগে জানা যায়, সামছুদ্দোহা ১৯৯২ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার পদে চাকরিতে যোগ দেন; কিন্তু তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা না হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসনিক কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কর্মরত আছেন। অভিযোগে বলা হয়, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সামছুদ্দোহা পাটোয়ারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তার আত্মীয়কে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেন।
অভিযোগে বলা হয়, সামছুদ্দোহা চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকে নানা অপকর্মে লিপ্ত হন। বিভিন্ন অভিযোগে এর আগে লাকসাম থানায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষবাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। নিজের নামে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়া হাউজিং এস্টেটে প্লট (ব্লক-এফ-প্লট নং-৩৩৫) রয়েছে, যার আনুমানিক বাজারদর ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কক্সবাজার হাউজিং এস্টেটে ফ্ল্যাট (দালান নং-৩, ফ্ল্যাট নং-এ/৫) রয়েছে। মিরপুর হাউজিং এস্টেটের ৬০০ ফ্ল্যাট প্রকল্পের ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে এবং তার স্ত্রীর নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটে পাঁচ কাঠার প্লট ও ১৩৩৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া লালমাটিয়া হাউজিং এস্টেটের পুনর্বাসন (প্লট নং-২৪/সি ও ডি) প্রকল্পে নির্মিত ভবনে দুই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। ডেমরায় ১০ কাঠার প্লট, কুমিল্লায় ১০ বিঘা জমি রয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে মোহাম্মদপুর ডাকঘরে দুই কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে।
এ ব্যাপারে সামছুদ্দোহা পাটোয়ারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement