২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন বিষয়ে আদেশ ৩ নভেম্বর

-

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন বিষয়ে ৩ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী রানা কাওসার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। মূল মামলার বাদিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
এ বিষয়ে সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, এরই মধ্যে এ মামলায় আটটি সাক্ষ্য হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যের তারিখ ৩১ অক্টোবর ধার্য হয়েছে। এ অবস্থায় জামিন আবেদনের শুনানি শেষে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ নভেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।
গত ১৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় আছে। এ জন্য সময় চাইলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। এ দিন আদেশ দাখিল না করা হলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বলে আদেশে বলেন বিচারক। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
গত ১৭ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে উচ্চ আদালতে আসেন তিনি। সাইবার ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গত ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হোসেনকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গত ১৫ এপ্রিল থানায় মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় ও তার জবানবন্দীর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদি হয়ে এ মামলা করেন। বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সাথে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার পক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। গত ১৭ জুলাই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement