২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকলেই কেবল প্রশংসা পাবেন : গয়েশ্বর রায়

-

চলমান শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত দেখতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি করেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নেতিবাচক কথা বলবেন না, প্রশংসা করুন। আমরা অবশ্যই প্রশংসা করব যারা এই চলামান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবেন। তিনটি ঘটনার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ তিনজন লোককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে লক্ষ লোককে আড়াল করার প্রচেষ্টা যদি হয় সে ক্ষেত্রে আমরা অসহায়, সেখানে আমরা প্রশংসা করতে পারব না। আমাদের ধন্যবাদ দেয়ার জায়গাটা সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। আর এটা যদি ধারাবাহিকভাবে চলে এবং প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যায় অবশ্যই আমরা ধন্যবাদ দেবো, সারা জাতি দেবে, সারা দেশ দেবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘দুর্নীতি-দুঃশাসন এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের শাহজাহান সম্রাট, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ফরিদউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর রায় লেন, আমার বলতে কষ্ট হচ্ছে, এটি কী সরকারের উদ্যোগ নাকি দেশপ্রেমের আকুতি থেকে দুঃসাহসিকভাবে অন্য কারো উদ্যোগ। দুঃসাহসিকভাবে আজকে এ গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে যারা দুর্নীতির লাগাম ধরতে চান, তাদেরকে সাধুবাদ জানাই, তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার সদিচ্ছা আমাদের আছে। কিন্তু সরকারের নাটকের একটি অংশ হিসেবে যদি এটি হয়, তা হলে আমরা দুঃখিত। সে ক্ষেত্রে আমরা স্বাগত জানাতে পারব না।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব সহযোগিতা চাইছেন। আমাদের সহযোগিতা করার কী আছে?
সহযোগিতা একজন করতে পারেন যাকে আপনারা আটক করেছেন, তিনি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। এক-এগারোর সময়েও তিনি আপনাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, তিনি আসার পরে তাকে স্বাগত অভিনন্দন জানানো, শেখ হাসিনার গ্রেফতারের সময়ে তার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসদাচরণের তীব্র প্রতিবাদÑ এসব বেগম জিয়ার ডায়েরিতে আছে, তিনি অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই সদস্য বলেন, যেখানে দুঃশাসন থাকবে সেখানেই দুর্নীতি থাকবে। এরা সহোদর ভাই। এরা কখন রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধারণ করে যখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে। অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে হয়, তখন জবাবদিহিতাও থাকে না।
গয়েশ্বর রায় বলেন, দুঃশাসন থাকলে রাষ্ট্রের যেসব অরগান থাকবে যেটাকে আপনারা বলেন, ইনস্টিটিউশন। এসব শেষ হয়ে যায়। আজকে তাই হচ্ছে। কতগুলো জায়গায় আছে যেগুলো মানুষের আস্থার জায়গা, সেই জায়গাগুলো মোটামুটি শেষ প্রান্তে। সরকার তার ইচ্ছাচরিতার্থ করতে গিয়ে রাষ্ট্র, সমাজ এবং জনগণের সব আকাক্সক্ষা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথগুলো রুদ্ধ হয়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement