২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বগুড়া-শান্তাহার মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মার্কেটসহ অনেক ভবন বহাল তবিয়তে

-

বগুড়া-শান্তাহার মহাসড়কের দু’পাশ থেকে প্রায় দুই হাজার দুই শত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালীদের কিছু অবৈধ ভবন এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। তবে সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে এগুলো অপসারণ সম্ভব হয়নি। আগামীতে এগুলো অপসারণ করা হবে।
বগুড়া সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে শান্তাহর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মহাসড়কের দু’পাশে স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন ধরনের ঘর নির্মাণ করেছিল। ইতঃপূর্বে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বারবার অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলেও আবারো দখল হয়ে যেত। তাই সড়ক বিভাগ নিজেদের আইন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গত সপ্তাহে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ছোট-বড় প্রায় দুই হাজার দুই শত স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারের জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। তবে বহুতল বেশ কিছু ভবন এ সময় উচ্ছেদ হয়নি। এর মধ্যে রয়েছেÑ বগুড়া শহরের চারমাথা, কাহালু উপজেলার বিবিরপুকুর ও নারহট্ট এবং শান্তাহার এলাকা। এসব জায়গায় প্রভাবশালীরা বহুতল ভবন নির্মাণ করার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে ওই সব ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম হলো
কাহালু উপজেলার নারহট্ট-দরগাহাট বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে মহাসড়কের জায়গায় নির্মিত দোতলা একটি মার্কেট। বহুতল ভিত দেয়া এর মালিক কাহালু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান আহ্বায়ক মো: সাইফুল ইসলাম। ভবনটির প্রায় অর্ধেক অংশ রাস্তার জায়গার ওপর নির্মিত। উচ্ছেদ অভিযানকালে ভবনের সামনের ছাদের কিছু অংশ কেটে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মার্কেট মালিক সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে দাবি করেন, ক্রয় করা জায়গায় গত তিন বছর আগে তিনি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। তবে কেন সামনের অংশ কাটা হলো এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেননি। উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া ওই বিভাগের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন জানান, ভারী যন্ত্রপাতি না থাকায় বহুতল ভবন উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে অভিযান চালানো হলে তা উচ্ছেদ করা হবে।
এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement