২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক সমর্থনে কক্সবাজারে মানববন্ধন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে

-

প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে বেশি। তাই বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রায় ১৫০টির বেশি দেশে আয়োজিত ফ্রাইডে স্ট্রাইক নামে খ্যাত ছাত্রছাত্রীদের ডাকা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কক্সবাজারে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার ইয়ুথ জলবায়ু ফোরাম। গতকাল সকালে কক্সবাজার বিভাগীয় বন বিভাগের অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, কক্সবাজার উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি আবদুর রহিম, উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সহসভাপতি রুহুল কাদের বাবুল, উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সদস্য মো: নাসিরউদ্দিন, কামাল উদ্দিন রহমান পিয়ারু, কক্সবাজারের যুব নেতা মিজানুর রহমান বাহাদুর, কক্সবাজার ইয়ুথ জলবায়ু ফোরামের সভাপতি মো: ইলিয়াছ মিয়া, সদস্য আবদুল মান্নান রানা ও রুহুল আমিন এবং বায়তুশ শরফ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবেদিতা পাল। সমাবেশে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ। সমাবেশে বক্তারা বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে ও উপকূলের নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে বৃক্ষ ও পাহাড় সংরক্ষণ ও বন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে বেশি, তা বন্ধ করতে হবে। প্রকৃতি ধ্বংস করে নয়, রক্ষা করেই উন্নয়ন করতে হবে। কক্সবাজার জেলার উপকূলে গড়ে ওঠা প্যারাবন ধ্বংস ও দখল বন্ধ করতে হবে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনে জেলা জলবায়ু ফোরাম সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও সমাজের নানা স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলনের ডাক দেন ১৬ বছর বয়সী সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ। এ আন্দোলনের জন্য সম্প্রতি তিনি এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে পুরস্কার পান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ‘বৃক্ষ-পাহাড় রক্ষ করুন, মানুষ ও প্রাণীকুলকে বাঁচান’ শিরোনামে ব্যানার এবং নানা রঙের ফেস্টুন।
সবার কণ্ঠে আওয়াজ ওঠেÑ ‘টেকসই বেড়িবাঁধ দাও, কুতুবদিয়া-মহেশখালীর মানুষকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচাও’, ‘বন ও পাহাড় ধ্বংস করে প্রকল্প বানানো বন্ধ কর’।
‘মানুষ বাঁচে অক্সিজেনে, বৃক্ষ দেয় সর্বজনে, বৃক্ষহীনে এই ধরিত্রী, উষ্ণ হচ্ছে পর্বত-গিরি, এমন বৃক্ষ কাটছে লোভী ডুববে ভিটা, মরবে সবি’, ‘বৃক্ষ বাঁচাও, তারা তোমাকে বাঁচাবে’, ‘বৃক্ষ বাঁচাও বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর কর’, ‘বৃক্ষ বাঁচাও, কার্বন কমাও’, ‘পাহাড় ও বৃক্ষ নিধনকারীদের রুখো’, ‘বৃক্ষ হলো ধরিত্রীর ফুসফুস’, ‘বৃক্ষ প্রাণসমৃদ্ধ, তাদের বাঁচান ও যতœ নিন’, ‘আমাদের বন দরকার, আমাদেরকে বনের লাগে না’, ‘নিজে বাঁচতে চাইলে বনকে বাঁচাও’, ‘বন হলো অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি’, ‘বৃক্ষ আনে বৃষ্টি, বৃষ্টি আনে স্বস্তি’, ‘আজকের গাছটি বাঁচাও, তারা কাল তোমাকে বাঁচাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪

সকল