২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

টঙ্গীতে প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসবের বিলবোর্ড অপসারণ নিয়ে তোলপাড়

-

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসবের বিলবোর্ড অপসারণকে কেন্দ্র করে এক যুবলীগ নেতার ফেসবুক লাইভ প্রচার নিয়ে তোলপাড় চলছে। গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জামায়াত -বিএনপির এজেন্ট কি না এমন প্রশ্ন রেখে লাইভে বলা হয়, মেয়র আওয়ামী লীগের লোক হয়ে থাকলে প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসবের বিলবোর্ড অপসারণের কথা নয়। অপর দিকে, নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, দলীয় পরিচয়ে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোক সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে এবং মেয়রকে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। গতকাল সোমবার বিকেলে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণে বাধা দিয়ে সিটি করপোরেশনের দুইজন কর্মচারী বাচ্চু ও শামীমকে মারধর করেছে কথিত যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
মেয়রের ঘনিষ্ঠ রানা আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার জন্মোৎসব পালনে নিষেধ করেছেন। এ ছাড়া নগর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলবোর্ড ব্যবহার করা অবৈধ। নগর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত রুটিন কাজ হিসেবে এসব অবৈধ বিলবোর্ড বা প্রচারপত্র অপসারণ করছে। অনেকে অসৎ উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য জন্মোৎসবের প্রিন্ট নগরীর নির্ধারিত বিলবোর্ডগুলোতে স্থাপন করছে।
এ দিকে ফেসবুকে শরীফ উদ্দিন আহমেদ নামের যুবলীগ নেতার লাইভে দেখা যায়, যুবলীগ নেতাকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের সামনে সিটি করপোরেশনের একটি গাড়ি আটক করেছে। গাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসবের ২-৩টি প্রিন্ট ছাড়া বাকি সব অন্যান্য বিষয়ের প্রিন্ট। যে প্রিন্টের জন্য গাড়িটি আটক করা হয়েছে সেটি মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক সাইফুল ইসলামের বিলবোর্ড। প্রিন্টটিতে সাইফুল ইসলামের ছবি ছাড়াও বঙ্গবন্ধু, আহসান উল্লাহ মাস্টার, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ছবি রয়েছে। তাতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসব পালনের কথা বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য যুবলীগ নেতা শরীফ আহমেদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নগর কর্তৃপক্ষের কাজ ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা ও মশা নিধন করা। কিন্তু তারা তা না করে বিলবোর্ড অপসারণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসবের বিলবোর্ড অপসারণের খবর পেয়ে দলীয় ছেলেরা গিয়ে বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে তারা কাউকে মারধর করেনি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য গাসিক মেয়রের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement